তৃণমূলের মঞ্চে হাজির পুলিশকর্তারা, নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন বামেরা
পুলিশের নিরপেক্ষতা নিয়ে ফের প্রশ্ন উঠে গেল। তৃণমূলের মঞ্চে হাজির পুলিশ কর্তারা। শিলিগুড়ির এই ছবিই আবার পুলিশের ভূমিকাকে প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়ে দিল।
শিলিগুড়ি, ১১ মার্চ : পুলিশের নিরপেক্ষতা নিয়ে ফের প্রশ্ন উঠে গেল। তৃণমূলের মঞ্চে হাজির পুলিশ কর্তারা। শিলিগুড়ির এই ছবিই আবার পুলিশের ভূমিকাকে প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়ে দিল। তৃণমূল যুব কংগ্রেসের মঞ্চ। সেখানে মঞ্চের মাথায় দলের পতাকা উড়ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি সম্বলিত ব্যানার লাগানো রয়েছে। তারই মধ্যে জুত করে বসে রয়েছেন পুলিশের ছোট-বড় কর্তারা।
তৃণমূলের মঞ্চে পুলিশের এই উপস্থিতি নিয়ে সরব হলেন বামেরা। কোনও বিশেষ রাজনৈতিক দলের মঞ্চ থেকে যৌথভাবে এই প্রচারকেই এবার হাতিয়ার করে আন্দোলনে নামছে বাম শিবির। সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ নিয়ে প্রচার। অরাজনৈতিকভাবেও এই প্রচার করা যেত। কিন্তু তৃণমূল সেখানে দলীয় ব্যানারে প্রচার চালানোর মঞ্চ প্রস্তুত করে। আর সেই মঞ্চেই হাজির হন পুলিশ কর্তারা, যা নিয়ে জোর বিতর্ক তৈরি হয়েছে শিলিগুড়িতে।
কে নেই সেই মঞ্চে! শাসকদলের নেতা কৃষ্ণ পাল থেকে শুরু করে প্রাক্তন বিধায়ক রুদ্র ভট্টাচার্য তো ছিলেনই, সেইসঙ্গে ছিলেন পুলিশ কমিশনার সি এস লেপচা, ডিসি ট্রাফিক সুনীল যাদব, ডেপুটি কমিশনার সংমিত লেপচা প্রমুখ পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। পুলিশ কর্তাদের সামনেই রাজনৈতিক বক্তব্যও রাখা হয় এদিন। তা নিয়েই সমালোচনায় মুখর হয়েছেন শিলিগুডির মেয়র সিপিএম বিধায়ক অশোক ভট্টাচার্য।
তিনি বলেন, পুলিশের নিরপেক্ষতা রক্ষা করাই শ্রেয়। তৃণমূলের পতাকা লাগানো মঞ্চে বসে থাকা সিঠখ ভাবমূর্তির পরিচায়ক নয়। এই ছবি প্রমাণ করল পুলিশ ও শাসকদল মিলেমিশে একাকার। তিনি দাবি করেন, পুলিশ কর্তাদের উচিত উর্দি খুলে শাসকদলে যোগ দেওয়া।
পুলিশ কমিশনার সি এস লেপচা বলেন, সরকারি অনুষ্ঠান। একটি বিশেষ থিমের প্রচার। তাই গিয়েছিলাম। সবাই গেলে মানুষের সচেতনতা বাড়বে। এটাই আমাদের মূল লক্ষ্য ছিল। সেখানে কোন দলের পতাকা লাগানো আছে, তা দেখেনি পুলিশ।