কালিম্পং-হামলায় স্পষ্ট জঙ্গি-যোগ, সিকিম সীমান্ত দিয়ে পাহাড়ে প্রবেশ মাওবাদীদের
দীর্ঘদিন তারা লুকিয়ে ছিল জঙ্গলে। জঙ্গলে থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে তাঁরা টার্গেট করে পাহাড়কে। পুলিশের ধারণা, এই জঙ্গি ক্রিয়াকলাপের পিছনে মোর্চার সংযোগ থাকতে পারে।
কালিম্পং থানায় বিস্ফোরণকাণ্ডে মাওবাদী যোগসূত্র খুঁজে পেল পুলিশ! পুলিশি তদন্তে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। তদন্তকারী আধিকারিকরা জানতে পেরেছেন, প্রায় ৫০ জন মাওবাদী নেপাল থেকে সিকিম সীমান্ত দিয়ে এ রাজ্যে ঢুকেছিল। তারা প্রথমে ছোটোখাটো হামলা চালানোর পর রবিবার কালিম্পং থানায় গ্রেনেড বিস্ফোরণ ঘটায়।
পুলিশ এমনও মনে করছে এই ঘটনার সঙ্গে মোর্চার যোগসূত্রও রয়েছে। প্রথম থেকেই পাহাড় আন্দোলনে জঙ্গি-যোগের অভিযোগ করে আসছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিমল গুরুংদের গোর্খাল্যান্ড আন্দোলনের পিছনে মাওবাদীদের মদত ছিল বলেও অভিযোগ করা হচ্ছিল রাজ্য প্রশাসনের তরফে।
এখন দার্জিলিং ও কালিম্পংয়ে বিস্ফোরণ ঘটার পর পুলিশি তদন্তে সেই অভিযোগই সত্য প্রমাণিত হতে চলেছে। অন্তত তদন্তের গতি প্রকৃতি সেই ধারণাই স্পষ্ট করছে ক্রমশ। পুলিশের ধারণা, গত ৫ জুলাই তৃণমূল পার্টি অফিসে হামলা চালিয়েছিল মাওবাদীরা। ছোটোখাটো অপারেশন চালিয়ে শেষমেশ কালিম্পং থানায় গ্রেনেড হামলা চালায় মাওবাদীরা।
পুলিশ জানতে পেরেছে, দীর্ঘদিন তারা লুকিয়ে ছিল জঙ্গলে। জঙ্গলে থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে তাঁরা টার্গেট করে পাহাড়কে। পুলিশের ধারণা, এই জঙ্গি ক্রিয়াকলাপের পিছনে মোর্চার সংযোগ থাকতে পারে। মোর্চাই পাহাড়ে ডেকে আনতে পারে মাওবাদীদের। আবার উল্টোদিকে পাহাড়ের অস্থির পরিস্থিতির সুযোগও নিতে পারে মাওবাদীরা।
সমস্ত দিকই খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। সেইসঙ্গে এই মাওবাদী স্কোয়াডকে পাকড়াও করতে চিরুণি তল্লাশি চালানো হচ্ছে। জঙ্গলের প্রতিটা কোণে কোণে সন্ধান চালানো হচ্ছে। প্রয়োজনে ড্রোনও ব্যবহার করা হতে পারে। পুলিশ প্রশাসন সীমান্ত এলাকায় কড়া নজরদারি রেখেছে। যাতে কোনও মাওবাদী বা বহিরাগত জঙ্গি কোনওভাবেই রাজ্যে প্রবেশ করতে না পারে, সদা সতর্ক প্রশাসন।