ফলতার শিশু পাচারেও ‘বড়দি’ যোগ, ‘মিডলম্যান’ শ্যামল-সাবিত্রীকে জেরা করে চাঞ্চল্যকর তথ্য
ফলতার শিশু পাচারে ‘বড়দি’ যোগ পেয়ে গেল সিআইডি। বেহালার পূর্বাশা হোমের মালিক ‘বড়দি’ পুতুল বন্দ্যোপাধ্যায়ই ফলতায় উদ্ধার হওয়া তিন শিশুকে তুলে দিয়েছিলেন ‘মিডলম্যান’ শ্যামল বৈদ্য ও সাবিত্রীর হাতে।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা, ৬ মার্চ : ফলতার শিশু পাচারে 'বড়দি' যোগ পেয়ে গেল সিআইডি। বেহালার পূর্বাশা হোমের মালিক 'বড়দি' পুতুল বন্দ্যোপাধ্যায়ই ফলতায় উদ্ধার হওয়া তিন শিশুকে তুলে দিয়েছিলেন 'মিডলম্যান' শ্যামল বৈদ্য ও তার স্ত্রী সাবিত্রীর হাতে। তারা লাগেজ ব্যাগে করে তিন শিশুকে এনেছিল ফলতার ওই নার্সিংহোমে। শেষমেশ 'সেফ হাউস'-এ জায়গা দিতে না পেরে ফেলে আসা হয়েছিল পুকুর পাড়ে। চাঞ্চল্যকর এই তথ্য উঠে এসেছে সিআইডি জেরায়।
দু'দিন আগে শিশু পাচারে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ফলতার নার্সিংহোম যোগ খুঁজে পায় পুলিশ। এরপর গ্রেফতার করা হয় নার্সিংহোম মালিক ও তাঁর ছেলেক। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই উঠে আসে 'মিডলম্যান' শ্যামল বৈদ্য ও তার স্ত্রী সাবিত্রী দেবীর নাম। এই দু'জনকে জেরা করেই উঠে আসে নানা চাঞ্চল্যকর তথ্য।
তদন্তকারী আধিকারিকদের তারা জানিয়েছে, এই শিশু পাচারের সঙ্গে অনেক চিকিৎসক জড়িয়ে রয়েছেন। তাদের সবাইকে তারা চিনত না। তবে প্রত্যক্ষ প্রভাব তারা লক্ষ্য করেছিল। শ্যামল ও সাবিত্রী মিডলম্যান হিসেবে কাজ করত। হোম থেকে শিশউদের তারা রেখে আসত বিভিন্ন জায়গায়। সেইমতোই ওই তিন শিশুকে তারা এনেছিল ফলতার নার্সিংহোমে। তারপর বেগতিক বুঝে নার্সিংহোমের মালিক হরিসাধন খাঁ ও তার ছেলে প্রবীর পুকুরের ধারে ফেলে আসে তিন শিশুকে।
পেশায় অটো চালক শ্যামল। আর তার স্ত্রী সাবিত্রী নার্সিংহোমে কাজ করত। সেই কাজের ফাঁকেই শিশু পাচারের কাজ করে কম সময়ে বিপুল বৈভব করে ফেলেছিল শ্যামল-সাবিত্রীরা। অট্টালিকা-সম বাড়ি তৈরি করেছিল শহরের বুকে। এহেন শ্যামল-সাবিত্রীকে জেরা করে শিশু পাচার কাণ্ডে আরও চমকপ্রদ তথ্য পেতে চাইছে সিআইডি। সিআইডি আধিকারিকদের অনুমান, এই শিশু পাচারের পিছনে আরও অনেক রাঘববোয়াল জড়িয়ে রয়েছেন। ইতিমধ্যে বেহালার সাউথ ভিউ, কলেজ স্ট্রিটের শ্রীকৃষ্ণ নার্সিংহোমের পাশাপাশি, কলকাতা, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগানর আরও অনেক নার্সিংহোম ও চিকিৎসকের নাম উঠে এসেছে।