অমানবিক পুলিশ, ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকায় বেধড়ক প্রহার ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রকে
কাকিমাকে নিয়ে বাইকে করে ডাক্তার দেখাতে গিয়েছিল এক ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্র। শুধুমাত্র ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকায় তাঁকে থানা নিয়ে এসে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল এএসআই-এর বিরুদ্ধে।
নদিয়া, ৪ নভেম্বর : কাকিমাকে নিয়ে বাইকে করে ডাক্তার দেখাতে গিয়েছিল এক ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্র। শুধুমাত্র ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকায় তাঁকে থানা নিয়ে এসে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল এএসআই-এর বিরুদ্ধে। জেল লক-আপে পুলিশের অমানবিক প্রহারে গুরুতর আহত নদিয়ার ধানতলার আন্দুলপোতার বাসিন্দা উত্তম বিশ্বাস বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি।
ঘটনার সূত্রপাত গত ২ নভেম্বর। কাকিমা অরুন্ধতী বিশ্বাসকে নিয়ে ডাক্তার দেখাতে ধানতলায় গিয়েছিল উত্তম। ফেরার পথে তাঁর বাইক দাঁড় করায় পুলিশ। ধানতলা থানার এসএসআই দেবাশিস ঘোষ সিভিল ড্রেসে ছিলেন। চিনতে না পেরে উত্তম বলেন, কেন আপনাকে লাইসেন্স দেখাব? দেবাশিসবাবু পুলিশ হিসেবে পরিচয় দিলেও, লাইসেন্স দেখাতে পারেনি উত্তম। তখনই তাকে থানায় নিয়ে যান এএসআই দেবাশিস ঘোষ। অভিযোগ, থানার লক আপে বেধড়ক মারধর করা হয় উত্তমকে।
দেবাশিসবাবু নিজে মারধর করেননি বলে জানায় উত্তম। তাঁর নির্দেশে পুলিশকর্মীরা উত্তমকে মারধর করে। কিন্তু উত্তমকে গ্রেফতার না করে পরদিন তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। সেইসময় থানাতেই অসুস্থ হয়ে পড়ে যান উত্তম। পুলিশই তাঁকে রামপুরহাট মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করে।
এরপর উত্তমের মুখে বিস্তারিত শোনার পর পরিবারের তরফে রানাঘাট মহকুমা পুলিশ আধিকারিক ইন্দ্রজিৎ বসুর কাছে অভিযোগ দায়ের করা হয়। শুধু লাইসেন্স না থাকার অপরাধে একজন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্রকে অমানবিকভাবে প্রহারের ঘটনায় সবমহলই নিন্দায় সরব হয়েছে।