তৃণমূলের আমলে শান্তিতে নেই মানুষ, আগাম ভোটের ইঙ্গিত দিলীপ ঘোষের গলায়
তৃণমূলের আমলে বাংলার মানুষ শান্তিতে নেই। মানুষ অখুশি, তাই বাংলায় আবার পরিবর্তন জরুরি। বর্ধমানে রাজ্য কমিটির বৈঠক থেকে রাজ্যে ফের পরিবর্তনের ডাক দিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
বর্ধমান, ১ মে : তৃণমূলের আমলে বাংলার মানুষ শান্তিতে নেই। মানুষ অখুশি, তাই বাংলায় আবার পরিবর্তন জরুরি। বর্ধমানে রাজ্য কমিটির বৈঠক থেকে রাজ্যে ফের পরিবর্তনের ডাক দিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁর গলায় এদিন আগাম ভোটের ইঙ্গিত। তিনি বলেন, ২০১৯-এ লোকসভা ও বিধানসভা ভোট একসঙ্গে হবে। তৃণমূলই এই পরিস্থিতি তৈরি করেছে। তাঁর কথায়, বাংলার মানুষ আর অসুখী থাকবে না। তৃণমূলকে হারিয়ে বাংলায় শান্তির রাজত্ব প্রতিষ্ঠা করবে বিজেপিই।
তিনি বলেন, বিজেপিকে আর অবহেলা করা যাবে না। দলের সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহের নির্দেশিত পথে এগিয়ে যাবে বিজেপি। আর সেই পথেই হবে লক্ষ্যপূরণ। ২০১৯ তো টার্গেট বটেই। ২০১৯-এ শুধু লোকসভা ভোট হবে না। একই সঙ্গে রাজ্যে বিধানসভা ভোটও হবে। আর সেই ভোটেই অস্ত যাবে তৃণমূল।
এদিন রাজ্য কমিটির বৈঠক থেকে পঞ্চায়েত ভোটের রূপরেখাও তৈরি করার পরিকল্পনা নিয়ে নিল বিজেপি। অমিত শাহ বুদ্ধিজীবীদের সঙ্গে বৈঠকের পর যে নির্দেশ দিয়ে গিয়েছিলেন, সেই নির্দেশ মতো শিল্পী-সাহিত্যিকদের একটি তালিকাও প্রস্তুত করা হচ্ছে ইতিমধ্যেই।
বিজেপি চাইছে, এবার পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূলের বিরুদ্ধে একশ্রেণির বুদ্ধিজীবীদের সামনে রেখে লড়াই করতে। শিল্পী, সাহিত্যিক, শিক্ষক, চিকিৎসকদের মতো সমাজের লব্ধ প্রতিষ্ঠিত মানুষকে বিজেপি প্রার্থী করে তৃণমূলের দিকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিতে বদ্ধপরিকর রাজ্য বিজেপি।
এদিন দিলীপ ঘোষ বলেন, বিজেপি বাড়ছে বলে তৃণমূল ভয় পেয়ে গিয়েছে। তাই দিকে দিকে বিজেপিকে লক্ষ্য করে আক্রমণ চলছে। তবে তৃণমূলের এই আক্রমণের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলবে সাধারণ মানুষ। বিজেপি-র সঙ্গে আসছে বাম-কংগ্রেসের বহু নেতারা। ফলে বিজেপি বঙ্গে শক্তি বাড়াচ্ছে।
দিলীপবাবু আরও বলেন, দক্ষিণ কাঁথির নির্বাচন ছিল অ্যাসিড টেস্ট। সেই পরীক্ষায় আমরা সসম্মানে উত্তীর্ণ হয়ে গিয়েছি। এবার এ রাজ্যের দখল নেওয়া আমাদের লক্ষ্য। বিজেপি-র সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহও বাংলা জয়ের দিকে লক্ষ্য দিয়েছে। এবার তাই এগিয়ে যাওয়ার পালা।