একই নার্সিংহোমে দুই রোগীর মৃত্যু, মৃতদেহ রাস্তায় রেখে যথেচ্ছ ভাঙচুর
চিকিৎসায় গাফিলতিতে রোগী মৃত্যুর জেরে রণক্ষেত্র হয়ে উঠল নদিয়ার রানাঘাট। একই দিনে দুই রোগীর মৃত্যু ঘিরে উত্তজেনা ছড়ায় এলাকায়। দুই রোগীর পরিবার একযোগে নার্সিংহোমে ভাঙচুর চালায়।
নদিয়া, ৪ এপ্রিল : চিকিৎসায় গাফিলতিতে রোগী মৃত্যুর জেরে রণক্ষেত্র হয়ে উঠল নদিয়ার রানাঘাট। একই দিনে দুই রোগীর মৃত্যু ঘিরে উত্তজেনা ছড়ায় এলাকায়। দুই রোগীর পরিবার একযোগে নার্সিংহোমে ভাঙচুর চালায়। অভিযোগ, নার্সিংহোমের গাফিলতিতে মৃত্যুর ঘটনা ঘটে দুই রোগীর। এরপর রোগীর মৃতদেহ রাস্তায় রেখে নার্সিংহোমে ভাঙচুর চালানো হয়।
অভিযোগ, প্রায় ছ'মাস যাবৎ রানাঘাটের অ্যাভিনিউ নার্সিংহোমে প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে ভর্তি হয়েছিলেন নমিতা দাস (২৮) নামে এক তরুণী। নার্সিংহোমে চিকিৎসাধীন থাকা সত্ত্বেও তাঁকে সুস্থ করে তুলতে পারেনি চিকিৎসকরা। উল্টে তাঁর শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হতে থাকে। কয়েকদিন আগে তাঁর পেটের যন্ত্রণা আরও বেড়ে যায়। ভর্তি হন ওই নার্সিংহোমে।
মঙ্গলবার সকালে তাঁর মৃত্যু হয়। এরপরই রানাঘাটের নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেয় রোগীর পরিবারের সদস্যরা। মৃতদেহ রাস্তায় রেখে নার্সিংহোমে ভাঙচুর চালায় নমিতা দাসের পরিবার।
ওই একই হাসপাতালে টিউমার নিয়ে অপারেশনের জন্য ভর্তি হয়েছিলেন হবিবপুরের বাসিন্দা অনিতা পাল (৩২)। কিন্তু অস্ত্রোপচারের পর তার রক্ত বন্ধ হয়নি। তাঁকে কল্যাণী জে এন হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। গতকাল তাঁর মৃত্যু হয়। দু'টি ক্ষেত্রেই একই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে অভিযোগ।
একই দিনে একই হাসপাতালের বিরুদ্ধে চিকিৎসার গাফিলতিতে দুই রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ। ফলে সম্মিলিত রোষ গিয়ে পড়ে নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের উপর। দুই ভুক্তভোগী পরিবার একযোগে ভাঙচুর চালায়। মুখ্যমন্ত্রীর কড়া আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে আইন হাতে তুলে নেয় রোগীর পরিবারের লোকজন। নিমেষেই অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে এলাকা। রানাঘাট থানার পুলিশ গিয়েও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হিমশিম খেয়ে যায়।