ভাঙড়কাণ্ডে অশান্তি এড়াতে রুটমার্চ না করেই ফিরল ‘সহিষ্ণু’ পুলিশ
ভাঙড়কাণ্ডে সহিষ্ণু পুলিশ। রুটমার্চে বাধা পেয়ে অশান্তি এড়াতে ভাঙড়ের গ্রাম থেকে ফিরে এল পুলিশ।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা, ২৮ জানুয়ারি : ভাঙড়কাণ্ডে সহিষ্ণু পুলিশ। রুটমার্চে বাধা পেয়ে অশান্তি এড়াতে ভাঙড়ের গ্রাম থেকে ফিরে এল পুলিশ। শনিবার ভাঙড়ের গ্রামে পুলিশ রুটমার্চ শুরু করতেই বাধা দেন গ্রামবাসীরা। তাঁদের দাবি, আমরা শান্তিতে আছি। এখানে কোনও ঝামেলা নেই। পুলিশ ঢুকেত অহেতুক আতঙ্ক ছড়াচ্ছে। তবে পুলিশ কেন? এই কারণেই আপত্তি জানান জনতা। আর জনতার এই আপত্তির পর রুটমার্চ না করে ফিরে যেতে মনস্থ করে পুলিশ।[ভাঙড়ে গ্রিডের কাজ শেষ করতে সচেতনতামূলক প্রচারই হাতিয়ার কর্পোরেশনের ]
একদিন আগেই ভাঙড়ের গ্রাম দেখে জনতা-পুলিশ দোস্তির ছবি। ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই ফের বদলে গেল ছবিটা। ফের পুলিশকে কেন্দ্র করে ভীতি ছড়াল গ্রামে। উত্তেজনা ফিরে এল এলাকায়। শুক্রবার জনতাকে দেখা গিয়েছে পুলিশের সঙ্গে হাত মেলাতে। পুলিশ জানিয়েছে, তারা জনতার পাশে রয়েছেন। কিন্তু এদিন মাছিডাঙায় ঢুকতেই গ্রামবাসীর বাধার মুখে পড়ে পুলিশ।[ভাঙড় : আরও দুই নকশাল নেতা গ্রেফতার, নতুন করে অশান্তি শুরু এলাকায়]
গ্রামবাসীদের দাবি, কেন অযথা গ্রামে পুলিশ ঢুকছে। এখন সব গণ্ডগোল মিটে গিয়েছে, তাহলে পুলিশ ঢুকে ভয়ের পরিবেশ তৈরি করার কোনও অর্থ হয় না। গ্রামের মানুষের এই তীব্র অনীহায় পুলিশ ফিরে যায় গ্রাম থেকে। দক্ষিণ ২৪ পরগনা পুলিশরে পক্ষ থেকে জানানো হয়, আমরা গ্রামবাসীদের পাশে আছি, এই বার্তা দিতেই গ্রামে যাওয়াষ গ্রামের মানুষ যখন চান না পুলিশ নিরাপত্তা, তাই রুটমার্চ স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।[কে চালাল গুলি? উর্দিই বা কার? ভাঙড়বাসীর ধন্দ কাটছে, শুরু রাজনৈতিক তরজা]