For Quick Alerts
ALLOW NOTIFICATIONS  
For Daily Alerts
Oneindia App Download

পার্কস্ট্রিটের 'সাজানো' ধর্ষণ থেকে বেলুড় মঠের 'বাজি ' বিস্ফোরণ : 'না'-এ অনড় বাংলা!

Google Oneindia Bengali News

বাঙালিরা হয়তো অস্বীকারের জগতেই থাকতে ভালবাসে। যদি তার জন্য বড় কোনও মূল্যও চোকাতে হয় তাতেও রাজি। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, বামপন্থা, মাছের ঝোল আর সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের বাইরে যেন ভাবতে তৈরিই নয় বাঙালি। [একটি ঘাসে দু'টি ফুল, দুমুখো তৃণমূল!]

বাঙালির কাছে তৃণমূল বনাম সিপিএম-এর তর্কের থেকে আকর্ষণীয় আর কিছু আছে?

একটা সময় ছিল যখন শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সংস্কৃতি বিভিন্ন ক্ষেত্রে শীর্ষে ছিল বাংলা। আর এখন শাসক থেকে শাসিত, বিরোধী থেকে মিডিয়া, বাংলার সবার নজর আটকে রয়েছে ক্ষুদ্র রাজনীতি আর অনুন্নত মানের ফুটবলের দিকে (সৌজন্যে বাংলার এপার ওপার)।

পার্কস্ট্রিটের 'সাজানো' ধর্ষণ থেকে বেলুড় মঠের 'বাজি ' বিস্ফোরণ : অস্বীকারের ধারা অব্যাহত বাংলায়!

আর রাজনীতি! রাজনীতি মানে তো সেই কাদা ছোঁড়াছুড়ি। সিপিএম আর তৃণমূলের সেই আমরা ওরার লড়াই। তর্কে শুধু '৩৪ বছরে ওরা কী করেছে?' আর আপনাদের 'সততার প্রতীক দলনেত্রীর দৌড় জানা আছে। 'যদিও বর্তমানে ক্রমেই সিপিএমের জায়গা নিতে শুরু করেছে বিজেপি।

কিন্তু যখন বিষয়টা আসে শহরের অভিজাত এলাকায় ধর্ষণের বা কনভেন্টে স্কুলের ভিতরে ধর্ষণের, কিংবা আলু চাষীর আত্মহত্যার ঘটনা, অথবা বাংলাদেশী অন্তঃপ্রবাহের বৃদ্ধি, বা ধরুণ জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্রে বিস্ফোরণের, তখন এই মানুষগুলোই নিজেদের জন্য যা সুবিধাজনক তেমন কোনও একটা মাঝবরাবার অবস্থান গ্রহণ করেন। ['কসাই', 'শয়তান', 'গাধা', 'ভোঁদা', মমতার চোখে মোদীর কতই না রূপ!]

পার্ক স্ট্রিটের গণধর্ষণ কাণ্ডকে রাজ্য সরকার 'সাজানো ঘটনা' বলেছিল। আলু চাষীর একের পর এক আত্মহত্যার ঘটনায় গার্হস্থ্য সমস্যাকেই মুখ্য কারণ করে দেখাচ্ছে সরকার।

বাংলাদেশী অনুপ্রবেশের ইস্যুটি এখন কেন্দ্রের সঙ্গে রাজ্যের মর্যাদার লড়াই হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর সাম্প্রতিক বেলুড় মঠের কম তীব্রতা সম্পন্ন বিস্ফোরণকে 'বাজি বিস্ফোরণ' বলে গুরুত্বহীন করার চেষ্টা সরকারের।

বিপদ লুকিয়ে আছে যেনও কেন এহেন আচরণ?

সামনে বড় কোনও বিপদ আসতে পারে জেনেও কেন উট পাখির মতো আচরণ করছে রাজ্য প্রশাসন? কেন জেনে শুনে নিজেদেরই মানুষদের আরও বৃহত্তর সমস্যার মুখে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে?

এর উত্তর হতেই পারে বড় কিছু চিন্তার অক্ষমতা। বাঙালিরা নিজেদের নিঃসঙ্গতাকেই ভালবাসে। আসলে সমস্যার মুখে পড়তে হবে এটা ভাবতে ভয় পায় তারা। তার চেয়ে বরং সমস্যা নিয়ে বেঁচে থাকতে তাদের একরত্তি সমস্যা নেই। তাই সবকিছু ভুলে যাওয়া যেন কখনও কোনও বিপদ ঘটবে না।

বিরোধীরাও এতটাই পঙ্গু যে বেলুড় মঠকে গুরুত্ব দেওয়ার কথাও মনে হল না তাদের, সবাই মত্ত অপ্রাসঙ্গিক পুরভোটে

সামনেই পুরভোট। স্থানীয় মিডিয়া বলুন বা বিরোধী, বা শাসকদল সবাই এখন পুরভোটেই ব্যস্ত। পুরভোটের আগে বেলুড় মঠ কিছুটা অক্সিজেন যোগাতে পারত বিরোধীদের। কিন্তু বিরোধীরা এই বেলুড় মঠের প্রসঙ্গকে কোনও গুরুত্বই দিল না যা সত্যিই অবিশ্বাস্য। যদি এটা সত্যিই শব্দ বাজির বিস্ফোরণ হয় তবুও কী স্থানীয় মিডিয়ার উচিত ছিল না ঐতিহ্যবাহী এলাকায় নিরাপত্তার অভাবে এমন ঘটনা কেন ঘটল তার দিকে সাধারণ মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করা?

বেলুড় মঠ বিস্ফোরণকে কী সত্যিই হাল্কাভাবে নিয়েছে রাজনৈতিক দলগুলি নাকি অন্য কোনও স্বার্থ জড়িত আছে?

তৃণমূল কংগ্রেস, সিপিএম, বিজেপি এই রাজনৈতিক দলগুলি কেন বেলুড় মঠের বিস্ফোরণ নিয়ে একটা শব্দও খরচ করল না? সত্যিই কী পুরভোটের কাজে এতটাই তারা ব্যস্ত যে অন্যদিকে তাকানোর সময় নেই। নাকি অন্য কোনও স্বার্থ আছে?

English summary
From 'concocted' Park Street rape to 'firecracker' burst in Belur Math: Bengal's denial continues
চটজলদি খবরের আপডেট পান
Enable
x
Notification Settings X
Time Settings
Done
Clear Notification X
Do you want to clear all the notifications from your inbox?
Settings X