সেপ্টেম্বরে শেষ করতে হবে গ্রামোন্নয়নের কাজ, তবে কি পঞ্চায়েত ভোট এগিয়ে আসছে?
আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যেই গ্রামোন্নয়নের সমস্ত প্রকল্পের কাজ শেষ করার নির্দেশ পাঠানো হয়েছে নবান্ন থেকে। প্রতিটি জেলায় সেই নির্দেশিকা পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
কলকাতা, ১৫ এপ্রিল : আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যেই গ্রামোন্নয়নের সমস্ত প্রকল্পের কাজ শেষ করার নির্দেশ পাঠানো হয়েছে নবান্ন থেকে। প্রতিটি জেলায় সেই নির্দেশিকা পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। রাজ্য সরকারের এই নির্দেশিকা পাওয়া পরই জল্পনা শুরু হয়েছে, তা হলে কি এগিয়ে আসতে চলেছে পঞ্চায়েত ভোট? রাজনৈতিক মহলে এখন এই নিয়েই চর্চা।
হিসাব মতো আগামী বছরের এপ্রিল বা মে মাস নাগাদ পঞ্চায়েত ভোট হওয়ার কথা। সেই বিচারে এখনও এক বছরের অধিক সময় বাকি পঞ্চায়েত ভোটের। কিন্তু রাজ্য সরকার প্রতিটি জেলায় উন্নয়নমূলক কাজগুলি সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে শেষ করতে বলায়, রাজনৈতিক মহল মনে করছে পঞ্চায়েত ভোট এগিয়েও আনা হতে পারে।
প্রথম কথা, এপ্রিল মাস মানেই গ্রীষ্মকাল। মাত্রাতিরিক্ত দাবদাহ। এই কারণ দেখিয়ে এগিয়ে আনা হতে পারে ভোট। দ্বিতীয় কারণটি অবশ্যই রাজনৈতিক। বর্তমানে নানা কারণে বিরোধী ভোট ভাগ হয়ে রয়েছে। তাড়াতাড়ি যদি ভোট করে নেওয়া যায়, তাহলে আখেরে ফায়দা লুটবে শাসক দল। নিশ্চিতভাবেই প্রথম স্থানে থাকবে তৃণমূল। আর দ্বিতীয়, তৃতীয় স্থান নিয়ে লড়াই করবে অন্যরা।
বর্তমানে রাজ্যে অন্তত ১৭-১৮টি বড় প্রকল্পের কাজ হচ্ছে। এই কাজ গ্রামোন্নয়নে বিরাট পরিবর্তন আনতে পারে। তার প্রভাব যাতে পঞ্চায়েত ভোটে লাগানো যায়, তা নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর তৃণমূস কংগ্রেস। মুখ্যমন্ত্রী জেলা সফরে গিয়ে গ্রামন্নয়নের কাজগুলি দ্রুত সারতে নির্দেশ দিয়ে এসেছিলেন। সম্প্রতি পুরুলিয়ায় গিয়ে তিনি কাজ দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
বাঁকুড়ার কাজেও তেমনভাবে সন্তুষ্ট নন মুখ্যমন্ত্রী। তাই তিনি ফের পঞ্চায়েত দফতরের আধিকারিকদের দুই জেলায় পাঠাচ্ছেন। তাঁরা প্রশিক্ষণ শিবির করবেন। প্রকল্পের কাজ সম্পর্কে বোঝাবেন। মুখ্যমন্ত্রী প্রকল্প ধরে ধরে নির্দেশ দিয়েছেন। কোন জেলায় কোন প্রকল্পে সমস্যা, তা নির্ধারণ করে দিয়েছেন। সেইমতো যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ চলছে। যত কাজ চলছে, ততই আলোচনা বাড়ছে, পঞ্চায়েত ভোট তাহলে কবে?