পঞ্চায়েত প্রধান হত্যাকাণ্ড : ‘এভাবে দুর্বল করা যাবে না তৃণমূলকে’, বললেন পার্থ
নিহত দুলাল বিশ্বাসের মরদেহ শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন। পার্থবাবু বলেন, বিরোধীরা পরিকল্পনা করে সরিয়ে দিয়েছে তৃণমূলের এই নেতাকে। তৃণমূলের শক্ত জমিকে এভাবে দুর্বল করা যায় না, দুর্বল করা যাবে না।’
নদিয়া, ১৭ এপ্রিল : ভরা বাজারে পার্টি অফিসে ঢুকে তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান খুনের ঘটনায় রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে শাসক-বিরোধীদের মধ্যে। এই ঘটনায় একে অপরের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছে তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপি।
সোমবার হাসপাতালে থেকে ময়নাতদন্তের পর দেহ আনার পর শোকসভার মঞ্চে কোনও বক্তব্য রাখলেন না পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। নিহত দুলাল বিশ্বাসের মরদেহ শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করার পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, বিরোধীরা পরিকল্পনা করে সরিয়ে দিয়েছে তৃণমূলের এই নেতাকে।
পার্থবাবু বলেন, দুলালবাবু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়ন কর্মযজ্ঞের একজন কাণ্ডারি ছিলেন। তাঁকে সরিয়ে দিয়ে বিরোধীরা ভেবেছে তৃণমূলকে দুর্বল করে দেবে। সে অভিসন্ধি পূর্ণ হবে না। তৃণমূলের শক্ত জমিকে এভাবে দুর্বল করা যায় না, দুর্বল করা যাবে না। তৃণমূল কংগ্রেস দুলালবাবুর পরিবারের পাশে আছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পাশে রয়েছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশাসনকে কঠোর হতে নির্দেশ দিয়েছেন। আমাদের লড়াই চলবে। দোষীরা কঠোর শাস্তি পাবে। কাউকে রেয়াত করা হবে না।
এদিন একযোগে বিজেপি, সিপিএম ও কংগ্রেসকে তোপ দাগেন পার্থবাবু। বলেন, রাজনৈতিকভাবে এরা তৃণমূল কংগ্রেসের মোকাবিলা করতে পারছে না। তাই এইসব পন্থা নিচ্ছে। বিজেপি-র অস্ত্র মিছিলের পিছনে কংগ্রেস-সিপিএমের হাত রয়েছে। অভিষেক বলেন, এই ঘটনায় যে বিজেপি-র হাত রয়েছে, তা অচিরেই স্পষ্ট হয়ে যাবে। ইতিমধ্যেই একজন বিজেপি ঘনিষ্ঠকে গ্রেফতার করা হয়েছে এই হত্যাকাণ্ডে।
বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, এরা নিজেদের পার্টি-নেতাদেরই রক্ষা করতে পারে না। গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে খুন হচ্ছে তৃণমূল নেতারা, আর অভিযোগের আঙুল তোলা হচ্ছে বিজেপির দিকে। বিজেপি কোনওদিনও খুনের রাজনীতি করেনি, কোনওদিন করবেও না। বিধায়ক সুজন চক্রবর্তী বলেন, দলের নেতারা কে কার টাকা খাবে সেই লক্ষ্য নিয়ে চলছে। নিজেদের দলের কোন্দলে খুন হচ্ছে, আর এরা সিপিএম-সিপিএম করে চিৎকার করছে।