শিলিগুড়ি জেলার দাবি আরও জোরালো, রাজনীতির স্বার্থেই বিভাজন, কটাক্ষ অশোকের
দাবিটা আগেই উঠেছিল, কালিম্পং জেলার মর্যাদা পেতে আরও জোরালো হল সেই দাবি। এবার শিলিগুড়িকেও নতুন জেলার মর্যাদা দেওয়া হোক।
শিলিগুড়ি, ১৫ ফেব্রুয়ারি : দাবিটা আগেই উঠেছিল, কালিম্পং জেলার মর্যাদা পেতে আরও জোরালো হল সেই দাবি। এবার শিলিগুড়িকেও নতুন জেলার মর্যাদা দেওয়া হোক। এই দাবিতে অন্তত অন্যায় দেখছেন না মেয়র অশোক ভট্টাচার্য। তাঁর কথায়, এখন তো আর উন্নয়নের স্বার্থে নতুন জেলা তৈরি হচ্ছে না। সর্বাগ্রে স্বার্থ দেখা হচ্ছে রাজনীতির। কালিম্পংকে নতুন জেলা ঘোষণার যৌক্তিকতা নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিলেন অশোকবাবু।[চারদিন 'নির্জলা' শিলিগুড়ি, মেয়রকে রাস্তায় আটকে বিক্ষোভ তৃণমূলের]
কালিম্পংয়ের ২১ তম জেলা হিসেবে মর্যাদা পাওয়ার দিনেই শিলিগুড়ির মেয়র প্রশ্ন তুললেন মুখ্যমন্ত্রীর পাহাড় পরিকল্পনা নিয়ে। অশোকবাবুর কথায়, সাধারণত প্রশাসনিক কাজকর্মের সুবিধার জন্যই জেলা গঠন করা হয়। অ্যাডমিনিস্ট্রেশন রিফর্ম কমিটি এই জেলা গঠনের দাবি করে। কিন্তু সেই দাবির পিছনে যে প্রশাসনিক কারণ থাকে, তাকে ছাপিয়ে যদি বড় হয়ে দেখা দেয় রাজনৈতিক স্বার্থ তখন সমালোচনা করতেই হয়। এটা জেলা গঠনের বিরোধিতা নয়, বিরোধিতা সরকারি নীতির।
মুখ্যমন্ত্রী রাজনীতিকেই মুখ্য করে দেখছেন সর্ব বিষয়ে। ভোটে জেতেছে বলে যা নয়, তাই করে বেড়াচ্ছে। তিনি জিটিএ গঠন নিয়েও প্রশ্ন তুলে বলেন, উন্নয়নের ভার যদি জিটিএ-কে দেওয়া হবে, তাহলে ১৫টি আলাদা বোর্ড গঠনের যৌক্তিকতা কী? এই বিভাজন তো ঘটাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং। তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী যা দেখাচ্ছেন, তাতে বিভাজনের রাজনীতি আবার মাথাচাড়া দেবে রাজ্যে। এখন জেলা ভাঙলেন মুখ্যমন্ত্রী, এবার রাজ্য ভাঙার দাবি উঠবে।
এদিন পাহাড়ের বোর্ডগুলিকে যে টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলন অশোকবাবু। তিনি বলেন, কোন খাত থেকে ৩০০ কোটি টাকা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী? বিধানসভায় এ নিয়ে তিনি প্রশ্ন তুলবেন বলে জানান।