আজও জরুরি পরিষেবা ক্ষেত্রে বিশৃঙ্খলা অব্যাহত, ব্যাঙ্ক খুললেও সঙ্কট মিটছে না এখনই
আজও বাজারে বিশৃঙ্খলা অব্যাহত। সঙ্কট জারি পেট্রোল পাম্প, বুকিং কাউন্টার, হাসপাতালেও। নোট সমস্যা এখনও দূর না হওয়ায় সাধারণ ক্রেতা থেকে শুরু করে ব্যবসায়ীদের অবস্থা একইরকম।
কলকাতা, ১০ নভেম্বর : আজও বাজারে বিশৃঙ্খলা অব্যাহত। সঙ্কট জারি পেট্রোল পাম্প, বুকিং কাউন্টার, হাসপাতালেও। নোট সমস্যা এখনও দূর না হওয়ায় সাধারণ ক্রেতা থেকে শুরু করে ব্যবসায়ীদের অবস্থা একইরকম। গতকালের তুলনায় সঙ্কট আরও তীব্র। যতক্ষণ না ব্যাঙ্ক খোলার পর টাকার জোগান আসছে, ততক্ষণ এই সমস্যা মেটার কোনও সম্ভাবনা নেই। এরই মধ্যে ব্যাঙ্ক খুললেও টাকার জোগান আসবে কি না তা নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে।
বাজারে চরম চাহিদা ১০ থেকে ১০০ টাকার নোটের। কেন্দ্রীয় সরকারের 'হঠকারী' সিদ্ধান্তে টাকার জন্য হাহাকার চলছে বাজারগুলিতে। কোলে মার্কেট থেকে লেক মার্কেট, মানিকতলা মার্কেট, কিংবা ধূলাগড় বা পাঁশকুড়া মার্কেট- সর্বত্রই টাকার সমস্যায় ক্রেতা কম। বাজারগুলি ফাঁকা গতকাল থেকেই।
এদিনও সকালে সেই একই চিত্র। এরই মধ্যে অনেক পেট্রোল পাম্পে নোটিশ ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে, '৫০০ টাকার কমে পেট্রোল দেওয়া হবে না।' খুচরো ৫০-১০০ টাকা না থাকাতেই এই পদ্ধতি অবলম্বন করতে বাধ্য হচ্ছে পাম্পগুলি। এর ফলে সঙ্কটে পড়ছেন সাধারণ মানুষ।
সরকারি ঘোষণায় জানানো হয়েছে, ব্যাঙ্কগুলি থেকে দিনে ১০ হাজার টাকার বেশি লেনদেন করা যাবে না আজ। এই সীমা বাড়বে আগামীকাল থেকে। তেমনি যে সমস্ত এটিএম এদিন খুলেছে, সেখান থেকে দিনে দু'হাজার টাকার বেশি তোলা যাবে না। এখানেও আগামীকাল থেকে লিমিট বাড়িয়ে ৪ হাজার করা হবে। এইসব কারণেই ভোগান্তি চলবে আজও। এখনও বেশ কয়েকটা দিন বাজার-সব জরুরি পরিষেবা ক্ষেত্রগুলিতে সমস্যা জারিই থাকবে।
এমনই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে যে, ক্রেতা বা বিক্রেতা কারও কাছেই পর্যাপ্ত খুচরো টাকা নেই। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ক্রেতাদের কাছে ৫০-১০০ টাকার নোটের আকাল চলছে। যাঁদের কাছে রয়ে গিয়েছে, তারাই এই সঙ্কটমুহূর্তে লাভবান। তবে তাঁরাও হাত খুলে খরচ করছেন না খুচরো টাকা। রাতারাতি এই সিদ্ধান্তের পর যে বেশ কিছুদিন এমন সমস্যা চলেব, তা বুঝে গিয়েছেন সকলেই।