টাকা চাই, নোট-যন্ত্রণায় লাটে উঠেছে অফিস
এটিএম যন্ত্রণার একই ছবি শহর ও জেলায়। এটিএম খুললেও ব্যাঙ্কে ভিড় বাড়ছে। কারণ জোগান নেই নোটে। সকালে এটিএম খুললেও টাকা শেষ হয়ে যাওয়ার আবারও বন্ধ হয়েছে ঝাঁপ।
কলকাতা, ১১ নভেম্বর : এটিএম যন্ত্রণার একই ছবি শহর ও জেলায়। এটিএম খুললেও ব্যাঙ্কে ভিড় বাড়ছে। কারণ জোগান নেই নোটে। সকালে এটিএম খুললেও টাকা শেষ হয়ে যাওয়ার আবারও বন্ধ হয়েছে ঝাঁপ। সাধারণ মানুষ থেকে ব্যবসায়ীরা তো নিত্য হয়রানির শিকার হচ্ছেনই, ভুক্তভোগী চাকরিজীবীরাও। হাতে বৈধ নোট নেই। সংসারেও টান পড়েছে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যে। আর অফিস যাবেনই বা কী করে, রাস্তা খরচের টাকাটুকুও যে পকেটে নেই। তাই অফিস কামাই করে ব্যাঙ্কের লাইনে দাঁড়াতে হয়েছে চাকরিজীবীদের।
অনেকেই চেষ্টা করেছিলেন সকাল সকাল এটিএম লাইনে দাঁড়িয়ে টাকা তুলে নিয়ে অফিস যেতে। কিন্তু শহর-শহরতলির এবং জেলারও বিভিন্ন এটিএম বন্ধ। যেখানে টাকা আছে, সেখানে লম্বা লাইন। কখন টাকা শেষ হয়ে যাবে জানেন না কেউ। তাই বানচাল হয়ে গিয়েছে অফিস যাওয়া।
কোনওরকমে 'বস'কে রাজি করিয়ে তাই ছুটি নিতে হয়েছে অনেক চাকরিজীবীকেই। অনেকে ছুটি পাননি। অফিস কামাই করতে হয়েছে। কাটা যাবে বেতনও। কিন্তু হাতে নগদ টাকা না থাকলে করবেন কী! এটিএমে টাকা না মেলায় আবার যে ব্যাঙ্কের লাইনে দাঁড়াতে হয়েছে তাঁদের।
অফিস যাবেন বলে সকালেই এসবিআই-এর এটিএম-এ লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন অনিমেষ হালদার। কাঁকুড়াগাছির বাসিন্দা। কলকাতা পুরসভার কর্মী। বাড়ির সামনে এই কাউন্টার থেকে টাকা পেয়ে গেলে আরও কোনও অসুবিধাই থাকত না। সেই ভরসায় লাইনে দাঁড়ান। কিন্তু অন্য ব্যাঙ্কের এটিএম কার্ড হওয়ায় লাইন দিয়ে কাউন্টারে ঢুকেও টাকা তুলতে পারলেন না।
ছুটলেন নিকটবর্তী ব্যাঙ্কের শাখায়। সেখানে এত লম্বা লাইন যে দুপুর গড়িয়ে গেল ব্যাঙ্কের কাছাকাছি পৌঁছতে। অফিস তো যাওয়া হলই না। শেষপর্যন্ত টাকা পাবেন কি না জানেন না তিনি। বেসরকারি সংস্থার কর্মী তরুণ ভৌমিক। ছুটি পাননি অফিস থেকে। কিন্তু পকেট ভাঁড়ে মা ভবানি। টাকা না তুললে অফিস যাবেন কী করে! সংসারই বা চলবে কীসে!
বাড়িতে যে টাকা রয়েছে, সে তো বাতিল নোট। কেউ নেবে না। তাই ভোরের আলো ফুটতেই ছুটেছিলেন এটিএমে। লাইনে দাঁড়িয়ে গড়িয়ে গিয়েছে অফিস টাইম। তবু টাকা হাতে আসেনি। অফিসও যাওয়া হয়নি। কাল অফিস ঢুকলেই অপেক্ষা করে আছে বকুনি।
এমন
নোট-যন্ত্রণা
চলছেই।
এখনও
পর্যন্ত
এই
সঙ্কট
থেকে
উদ্ধার
হওয়ার
কোনও
সম্ভাবনা
দেখা
যাচ্ছে
না।
ব্যাঙ্কের
এটিএমগুলিতে
টাকা
না
ভরা
হলে
সঙ্কট
আরও
বাড়বে
বলেই
আশঙ্কা।
বিভিন্ন
ব্যাঙ্কের
শাখায়
চূড়ান্ত
বিশৃঙ্খলা
চলছে।
ব্যাঙ্ক
সংলগ্ন
এটিএম
থেকেও
টাকা
তুলতে
পারছেন
না
গ্রাহকরা।
সকাল
থেকে
বিভিন্ন
ব্যাঙ্কের
এটিএমে
ঘুরেও
টাকা
মিলছে
না।
কোথাও
শাটার
নামানো,
কোথাও
আবার
শাটার
খোলা
থাকলেও
এটিএমে
টাকা
নেই।
নোট-নাকাল
এখন
তাই
চলবেই