বাজারে বিশৃঙ্খলা অব্যাহত, নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে বিপাকে সাধারণ ক্রেতারা
বাজারে বিশৃঙ্খলা চলছে সকাল থেকেই। নোট নিয়ে চরম হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে সাধারণ ক্রেতা থেকে শুরু করে ব্যবসায়ীদের। বাজারে চরম চাহিদা ১০ থেকে ১০০ টাকার নোটের।
কলকাতা, ৯ নভেম্বর : বাজারে বিশৃঙ্খলা চলছে সকাল থেকেই। নোট নিয়ে নাকানি-চোবানি খেতে হচ্ছে সাধারণ ক্রেতা থেকে শুরু করে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের। বিপাকে পাইকারি ব্যবসায়ীরাও। বাজারে চরম চাহিদা ১০ থেকে ১০০ টাকার নোটের। কেন্দ্রীয় সরকারের 'হঠকারী' সিদ্ধান্তে টাকার জন্য হাহাকার চলছে বাজারগুলিতে। কোলে মার্কেট হোক বা ধূলাগড়, কিংবা পাঁশকুড়ার সবজি মার্কেট। সর্বত্রই ৫০০, ১০০০ টাকার নোট নিয়ে সমস্যা তৈরি হচ্ছে। ক্রেতা-বিক্রেতাদের বচসা বাধছে।
২০০-৩০০ টাকার বাজার নেওয়ার পরও ৫০০ টাকা নেওয়া হচ্ছে না। ক্রেতাদের কাছে চাওয়া হচ্ছে খুচরো। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ক্রেতাদের কাছে নেই ৫০-১০০ টাকার নোট। রাতারাতি এই সিদ্ধান্তের পরই বিপাকে পড়েছেন তাঁরা। আবার অনেকে ৫০০ টাকা খুচরো করে নেওয়ার চেষ্টাও চালাচ্ছে। বিক্রেতারা যে সবাই ৫০০ টাকা নিতে চাইছেন না, তা বলা যাবে না। অনেকে নিতে চাইলেও উপায় নেই। কেননা তাদের কাছে খুচরো শেষ হয়ে যাচ্ছে। কত খুচরোর জোগান আছে, যে সবাইকে ৫০০, ১০০০ টাকা চেঞ্জ করে দেওয়া সম্ভব।
সবথেকে সঙ্কট তৈরি হয়েছে সাধারণ ক্রেতাদের মধ্যে। কেনাকাটা করতে গিয়েই চরম বিপাকে পড়ছেন মানুষ। একটা সময় খুচরো টাকা শেষ হয়ে যাচ্ছে। ফলে টান পড়ে যাচ্ছে পকেটে। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে পারছেন না মানুষ। এই অবস্থায় কী করবেন বুঝে উঠতে পারছেন না সাধারণ ক্রেতারা। তারা এই অনভিপ্রেত ঘটনার জন্য দুষছে কেন্দ্রের মোদি সরকারকেই। সকালেই বাজারে বেরিয়েছিলেন ভোলানাথবাবু।
গঙ্গারামপুরের বাসিন্দা ভোলানাথ চক্রবর্তী ৭০০ টাকা নিয়ে উলুবেড়িয়ার বাজারে যান। একটি ৫০০ টাকা ও দু'টি ২০০ টাকা। সবজি বাজার থেকে মেছো বাজার, মুদি দোকান থেকে মিষ্টান্ন ভাণ্ডার। কেউ-ই তাঁকে একটি ৫০০ টাকার নোটের চেঞ্জ দেননি। তাই প্রয়োজনীয় জিনিস কিনতেও পারেননি তিনি কোনওরকমে ২০০ টাকার বাজার করে নিয়েই বাড়ি ফিরেছেন। এটা তো একটা প্রতীকী ঘটনা মাত্র। এহেন সমস্যার বাতাবরণ গোটা দেশজুড়ে।
খুচরো ব্যবসায়ীরাও পাইকারি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে পণ কিনতে গিয়ে সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন। ৫০০, ১০০০ টাকার নোট নেওয়া হচ্ছে না। এদিকে ব্যবসায়ীদের কাছে ১০, ২০, ৫০, ১০০ টাকার নোটও সীমিত। তাই মাল তুলতেও সমস্যায় পড়ছেন খুচরো ব্যবসায়ীরা। পাইকারি ব্যবসায়ীরাও চরম সঙ্কটে পড়েছেন টাকা চেঞ্জ করে দিতে। ব্যবসাও মার খাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তের জেরে। নাজেহাল সাধারণ ক্রেতা-বিক্রেতারা।