বিজেপির বিরুদ্ধে জমি কেলেঙ্কারির অভিযোগ বিধানসভা থেকে পৌঁছল সংসদের দোরগোড়ায়
এবার বিজেপির বিরুদ্ধে জমি কেলেঙ্কারির অভিযোগ তুলল তৃণমূল। বিধানসভা থেকে সংসদের দোরগোড়ায় পৌঁছে গেল তৃণমূলের সেই আওয়াজ।
নয়াদিল্লি ও কলকাতা, ৫ ডিসেম্বর : এবার বিজেপির বিরুদ্ধে জমি কেলেঙ্কারির অভিযোগ তুলল তৃণমূল। বিধানসভা থেকে সংসদের দোরগোড়ায় পৌঁছে গেল তৃণমূলের সেই আওয়াজ। বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী আওয়াজ তুললেন বিজেপির কেলেঙ্কারির বিরুদ্ধে। দাবি জানালেন, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতির অধীনে তদন্তের। আর নেত্রীর সেই আওয়াজ শুনে দিল্লিতে উত্তাল হল তৃণমূলের ধরনা।
এদিনও নোট-কাণ্ডে সংসদে সরব হয়ে ওঠেন বিরোধী সাংসদরা। প্রধানমন্ত্রী সংসদে আলোচনায় উপস্থিত না হয়ে বাইরে মুখ খুলছেন। সেই কারণেই সংসদ উত্তাল হয়ে ওঠে। রাজ্যসভা ও লোকসভা দুই কক্ষেই বিরোধী সাংসদরা নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে মুখ খোলেন। রাজ্যসভায় কংগ্রেস সাংসদ গুলাম নবি আদাজ বলেন, সংসদের এটিএমেই টাকা মিলছে না।
তবে দেশের কী পরিস্থিতি হতে পারে, ভাবুন! লোকসভায় তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেন, আগে থেকে বিজেপি-র কাছে খবর পৌঁছে যায় নোট বাতিলের। আগে থেকেই বিজেপি নেতৃত্ব সাবধান হয়ে যায়। তারপরই গোটা দেশে এই জমি কেনার রেওয়াজ শুরু হয়।
আজ বিধানসভায় যখন বিজেপির জমি কেলেঙ্কারির পর্দা ফাঁস করে দেন মুখ্যমন্ত্রী, তখনই সংসদের বাইরে জমি কেলেঙ্কারির অভিযোগ তদন্ত দাবি করেন তৃণমূল সাংসদরা। তৃণমূল সাংসদরা মিলিত হয়ে দফায় দফায় ধরনা-অবস্থান চালান। মুখ্যমন্ত্রী সুপ্রিম কোর্টোর বিচারপতির অধীনে তদন্ত দাবি করেন। আর দিল্লিতে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়রা আওয়াজ তোলেন, বিজেপি, জমি কেলেঙ্কারি, জুয়েলারি কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত। কালো টাকা সাদা করতে বিজেপি এইসব পন্থা নিয়েছে। অবিলম্বে বিজেপি-র এই কালো-পন্থা নিয়ে তদন্ত করা উচিত।
এদিকে বিধানসভায় বিজেপির বিরুদ্ধে জমি কেলেঙ্কারির অভিযোগ তোলায় মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সরব হন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ ও বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার। দিলীপবাবুর কথা, বিজেপি গোটা দেশেই অফিস করার জন্য জমি কিনছে। আগে থেকেই আমাদের এই জমি কেনার প্রয়াস চলছিল। মঝে উপনির্বাচনের জন্য তা বন্ধ ছিল।
এখন সেই অসম্পূর্ণ কাজই করা হচ্ছে। এক একটা জমির মূল্য কোটি টাকা। তবে সেই টাকার উৎস নিয়ে প্রশ্ন উঠে পড়েছে। জয়প্রকাশবাবু বলেন, অমরা যে কালো টাকা নিয়ে জমি কিনছি তা প্রমাণ করুক তৃণমূল। জমি কেনার অর্থ টাকার বৈধ লেনদেন, রেজিস্ট্রি ইত্যাদি। সেখানে কালো টাকার প্রশ্ন আসতে পারে না।