কমিশনের কড়া টনিকে ভোটের ফল জানতে হা-পিত্তেশ করতে হবে রাজ্যবাসীকে
কলকাতা, ১৩ মে : তৃণমূলই ফিরছে নাকি কংগ্রেসের 'হাত' ধরে সিপিএমের প্রত্যাবর্তন? এই প্রশ্নের উত্তর মিলবে ১৯ মে-তেই। কিন্তু কখন? প্রথমের চেয়ে দ্বিতীয় প্রশ্নটাই যেন এখন আপামর রাজ্যবাসীর কাছে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়ে। সৌজন্য নির্বাচন কমিশনের নয়া ফতোয়া।
প্রত্যেকবারই ভোটগ্রহণের চেয়ে বেশি উন্মাদনা-উত্তেজনা দেখা দেয় ভোটগননার দিন। সকাল থেকেই ভোটের ফলের ট্রেন্ড আসতে শুরু করে। কোন দল কত সিটে এগিয়ে আছে, পিছিয়ে আছে, কোন হেভিওয়েট নেতা কত ভোটে বিপক্ষকে পিছনে ফেলে এগোচ্ছেন বা কোনও নতুন মুখ তারকা প্রার্থীকে টক্কর দিতে পারছে কিনা এসব নিয়ে টানটান উত্তেজনা থাকে। চিন্তায় টিভি আঁকড়ে বসে থাকেন বহু প্রার্থীরা। কিন্তু এবারের গননায় সম্ভবত নিজেদের ইমেজ ক্লিন রাখতে সেই উত্তেজনা-উন্মাদনাকেই গোড়া থেকে ছেঁটে ফেলছে নির্বাচন কমিশন।
কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, ভোটের প্রবণতা জানার ফলে রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে সংঘর্ষের ফলে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে তার জন্য এবার বেশ কয়েকটি কড়া পদক্ষেপ নিতে চলেছে কমিশন, যা এর আগে কখনও হয়নি।
প্রত্যেকবার নির্দিষ্ট বিরতিক পরে মাইকে ভোটের প্রবণতা জানাতে থাকে কমিশন। গণনাকেন্দ্রগুলির বাইরেই ডিসপ্লে বোর্ড রাখা থাকে যার মাধ্যমে ভোটের প্রবণতা জানা যায়। কিন্তু এবার এই দুটোর কোনও ব্যবস্থাই থাকছে না। প্রযুক্তির ব্যবহার করেও কোনওভাবে ভোটের প্রবণতা সকাল থেকে জানা যাবে না।
সংবাদমাধ্যমের দৌড় মিডিয়া সেন্টার পর্যন্তই থাকবে গণনাকেন্দ্রের কাছেও ঘেঁষতে পারেবে না মিডিয়া। গননা পুরোপুরি শেষ হওয়ার পর তা নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে।
শুধু এই নয় পোসিং এজেন্ট, ভোটগননা কর্মীদের বিষয়েও বেশ কয়েকটি নিয়ম লাগু করছে কমিশন। গননা শুরু হওয়ার পর কোনও এজেন্টও আর গণনাকেন্দ্রে ঢুকতে পারবেন না। এমনকী শারীরিক অসুস্থতা ছাড়া গননা শেষ হওয়ার আগে বেরতেও পারবে না। গননার মাঝপথে কোনও এজেন্টকে বদল করা যাবে না। বাইরে থেকে জল ও খাবারও এজেন্টদের কাছে পৌঁছে দেওয়া যাবে না।
কমিশনের এই নয়া নিয়মে স্বভাবতই ক্ষুব্ধ রাজনৈতিকদলগুলি। তৃণমূল সহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলিই কমিশনের এই কড়াকড়ি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। কমিশন সূত্রের খবর এই নয়া নিয়মের ফলে ভোটগননায় দেরি না হলেও বিকেলের আগে কমিশনের ওয়েবসাইটে ভোটের ফল দেখা যাওয়ার সম্ভবনা কম।