নয়া শিক্ষা বিল পেশ হল না, বিরোধীদের প্রবল বিরোধিতায় পিছু হটল সরকার
নয়া শিক্ষা বিল পেশ হল না বিধানসভায়। শুক্রবার বিল পেশ হওয়ার আগে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়ে দেন, এই বিল নিয়ে অনেক সমালোচনা হচ্ছে, তাই আরও খতিয়ে দেখা দরকার।
কলকাতা, ১৬ ডিসেম্বর : নয়া শিক্ষা বিল পেশ হল না বিধানসভায়। শুক্রবার বিল পেশ হওয়ার আগে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়ে দেন, এই বিল নিয়ে অনেক সমালোচনা হচ্ছে, তাই আরও খতিয়ে দেখা দরকার। সংশোধন করার কথা বলেই আপাতত পিছু হটল রাজ্য। এদিন এই বিলের বিরোধিতায় সরব হয় কংগ্রেস ও বামফ্রন্ট। বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান ও সিপিএমের পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী-রা এই নিয়ে যখন বিধানসভার ভিতরে ঝড় তোলেন, তখন এসইউসি-র পক্ষ থেকে বিধানসভার বাইরে তুমুল বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হয়।
বিধানসভায়, বিধানসভার বাইরে এবং শিক্ষাবিদ মহলে তুমুল সমালোচিত হয়েই এই বিল পেশ বিরত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তৃণমূল বুঝতে পেরেছিল, এখনই এই বিল পেশ হলে বুমেরাং হতে পারে। তাই পিছু হতে বাধ্য হয় তারা। বিধানসভার বিরোধী দলনেতা বলেন, আমরা এই বিলের বিরোধিতা করে আসছি, যতক্ষণ না পর্যন্ত এই বিল প্রত্যাহার করা হয় আমরা এর বিরোধিতা করে যাব।
সুজন চক্রবর্তীও প্রবল সমালোচনা করে বলেন, শিক্ষাক্ষেত্রের স্বাধীকার হরণ করতেই পরিকল্পিতভাবে এই বিল আনা হচ্ছিল। সরকারের এই মানসিকতা চরম নিন্দনীয়। সরকরা এটা প্রত্যাহার না করলে চূড়ান্ত অন্যায় হত। এসইউসি সম্পাদক সৌমেন বসু বলেন, যতক্ষণ না পর্যন্ত এই বিল পুরোপুরি প্রত্যাহার করে নেয়, ততক্ষণ আমাদের আন্দোলন জারি থাকবে। আজ বিধানসভার বাইরে যে বিক্ষোভের আঁচ দেখেছে শাসকদল, তার থেকেও ভয়ঙ্কর হবে এসইউসি-র লড়াই।
উল্লেখ্য এদিন বিধানসভার বাইরে ৫০-৬০ জন এসইউসি নেতা-কর্মী জড়ো হয়ে তুমুল প্রতিবাদে সামিল হন। সেই বিক্ষোভ থামাতে গিয়ে পুলিশ-এসইউসি কর্মীদের মধ্যে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। বেশ কয়েকজন এসইউসি কর্মী গুরুতর জখম হন।
এই বিল পাস হয়ে গেলে কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাথায় বসবেন একজন শিক্ষাবিদ। পরিচালন সমিতির সভাপতি হিসেবে শিক্ষাবিদ নিয়োগ, পরিচালন সমিতিতে প্রভাব বাড়ানো, এমনকী নির্বাচনে সরাসরি হস্তক্ষেপ করতেই এই কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনিক বিল আনতে তৎপর হয়।