এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিচার হবে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনে! কেন এমন পরিস্থিতি
হঠাৎ করে কেন এমন পরিস্থিতি? এখন এই প্রশ্ন রাজনৈতিক মহলে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের এই অভিযোগ এনেছে এপিডিআর। দীর্ঘদিন ধরেই মানবাধিকার নিয়ে আন্দোলন করে আসছে এপিডিআর।
এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিচার হবে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনে। ৩০ মে-সহ একাধিক সাম্প্রতিক একাধিক প্রশাসনিক সভা থেকে দাঙ্গা ঠেকাতে পুলিশকে তৎপর হতে নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বিক্ষোভকারীদের আন্দোলন দমনে কড়া পুলিশি ব্য়বস্থার কথা বলেছিলেন। মুখ্য়মন্ত্রীর এই কথায় মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে বলে অভিযোগ মানবাধিকার সংস্থা এপিডিআর-এর।
বিষয়টি নিয়ে একত্রিশে মে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনে অভিযোগও দায়ের করে এপি়ডিআর। একত্রিশে মে-র একাধিক সংবাদপত্রের কাটিংও দেওয়া হয় আবেদনপত্রের সঙ্গে। এভাবে পুলিশকে ব্যবহারের কড়া সমালোচনা করার সঙ্গে সঙ্গে বাইশ ও পঁচিশ মে দুটি রাজনৈতিক কর্মসূচিতে পুলিশের লাঠি চালানোরও চিত্র তুলে ধরা হয়। বাইশে মে বামেদের কমর্সূচিতে পুলিশের লাঠিতে মাথা ফাটার পরও উত্তর চব্বিশ পরগনার এক বামকর্মীকে বেধড়ক মারধর করে কলকাতা পুলিশ। এপিডিআর-এর অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের পর পুলিশ আরও নির্মম হয়ে উঠবে।
পুলিশকে মুক্ত হস্তে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী সংবিধান, আইপিসি এবং সিআরপিসি-কে লঙ্ঘন করছেন বলেই অভিযোগ এপিডিআর-এর। অভিযোগপত্রে যথাযোগ্য ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি বামেদের নবান্ন অভিযানে যেসব পুলিশকর্মী বিক্ষোভকারীদের মাথা লক্ষ্য করে লাঠি চালিয়েছিলেন তাঁদেরও খুঁজে বের করার দাবি করা হয়। এর প্রেক্ষিতে মানবাধিকার সংগঠন এপিডিআর-এর করা অভিযোগটি গ্রহণ করেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। যার নম্বরটি হল, ৮৫০০৬-সিআর-২০১৭।