জাতীয় সঙ্গীতের সময় বিরিয়ানি খাওয়ার ধূম, সিউড়িতে বিতর্কে জাতীয় কংগ্রেস
ফের জাতীয় সঙ্গীতের অবমাননা। এবার জাতীয় সঙ্গীত অবমাননার অভিযোগ জাতীয় কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, জাতীয় সঙ্গীত চলাকালীন কংগ্রেসকর্মীরা ব্যস্ত ছিলেন বিরিয়ানি খেতে।
বীরভূম, ৩ মে : ফের জাতীয় সঙ্গীতের অবমাননা। এবার জাতীয় সঙ্গীত অবমাননার অভিযোগ জাতীয় কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, জাতীয় সঙ্গীত চলাকালীন কংগ্রেসকর্মীরা ব্যস্ত ছিলেন বিরিয়ানি খেতে। এই ঘটনায় বিতর্কে বীরভূম জেলা কংগ্রেস। সমগ্র ঘটনার জন্য দুঃখপ্রকাশও করেছেন জেলা কংগ্রেস সভাপতি।
মে দিবসে বীরভূম জেলা আইএনটিইউসি-র পক্ষ থেকে একটি সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছিল। বীরভূমের সিউড়ি-র একটি সভাকক্ষে সেই সম্মেলনের শেষে ঘটে এই অবমাননাকর ঘটনা। অনুষ্ঠানের একেবারে শেষলগ্নে যখন জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া হচ্ছিল, তখনই বিরিয়ানি খাওয়ায় ব্যস্ত থাকতে দেখা যায় কংগ্রেস কর্মীদের।
ওইদিনের সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র, জেলা কংগ্রেস সভাপতি সৈয়দ সিরাজ জিম্মি, প্রদেশ সংখ্যালঘু সেলের চেয়ারম্যান মিলটন রসিদ, জেলা কিষান ক্ষেত মজদুর কংগ্রেসের চেয়ারম্যান সৈয়দ কাসাফদ্দোজা, আইএনটিইউসি-র জেলা সভাপতি মৃণাল বসু প্রমুখ।
সভার কাজ সফলভাবে মিটে যাওয়ার পরই বিতর্কের সূত্রপাত। একদিকে যখন সভাশেষ জাতীয় সঙ্গীত বাজছে, তখনই বিরিয়ানি খাওয়ার ধূম পড়ে যায় কংগ্রেস কর্মীদের মধ্যে। জাতীয় সঙ্গীতের আগে সবাইকে নিজের জায়গায় দাঁড়িয়ে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার আহ্বান জানানো হয়। কিন্তু অনেকেই তখন বিরিয়ানির প্যাকেট খুলে ফেলেছেন। শুরু করে দিয়েছেন খাওয়া। ফলে জাতীয় সঙ্গীতের প্রতি সম্মাননা জ্ঞাপন করতে পারেননি তাঁরা।
এই নিয়েই যখন বিতর্ক তুঙ্গে, তখন জেলা সভাপতি সৈয়দ সিরাজ জিম্মি জানান, এটা খুব দুঃখজনক ঘটনা। এই ঘটনার জন্য আমরা মর্মাহত, দুঃখিত। আমাদের তরফ থেকেও একটি ভুল হয়েছে। জাতীয় সঙ্গীতের আগে বিরিয়ানি বিতরণ করাও ঠিক হয়নি। যে কারণে এই বিতর্ক দানা বেঁধেছে। আমরা এ জন্য দুঃখপ্রকাশ করছি।