নাবালক ছেলের রহস্যমৃত্যু, সৎ বাবার দিকে আঙুল তুলল মা, গ্রেফতার দু’জনেই
কিশোর ছেলের রহস্য মৃত্যুর পিছনে হাত সৎ-বাবার! ছেলে খুনে স্বামীর দিকেই অভিযোগের তির ছুড়লেন মা। পুলিশ এই রহস্য মৃত্যুর ঘটনায় ওই কিশোরের সৎ বাবা ও মা-কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ
কলকাতা, ৭ জানুয়ারি : কিশোর ছেলের রহস্য মৃত্যুর পিছনে হাত সৎ-বাবার! ছেলে খুনে স্বামীর দিকেই অভিযোগের তির ছুড়লেন মা। পুলিশ এই রহস্য মৃত্যুর ঘটনায় ওই কিশোরের সৎ বাবা ও মা-কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। প্রতিবেশীদের অভিযোগ, ওই কিশোরের উপর অত্যাচার করত মা ও সৎ-বাবা। ছেলেকে পাচারের চেষ্টাও করেছিল তারা।
শনিবার সকালে হুগলি স্টেশনের কাছে পরিত্যক্ত জায়গা থেকে উদ্ধার করা হয় এক কিশোরের রক্তাক্ত দেহ। মৃতের নাম সৌম্যজিৎ দাস। সে ক্লাস সিক্সের ছাত্র। বছর তিনেক আগে মা দ্বিতীয় বিয়ে করার পর থেকে সে ব্যান্ডেলের লালবাবা আশ্রমে দিদিমার কাছে থাকত। মা থাকত চঁচু়ড়ার টায়ারবাগানে। অভিযোগ, আশ্রমে এলে মাও ছেলেকে ধরে মারধর করত। মারধর করত সৎ বাবাও।
সৌম্যজিতের বাবা বিশ্বজিৎ দাস। তাঁর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন হওয়ার পর মায়ের কাছে চলে এসেছিল সোমা দাস। তারপর অরবিন্দ তাঁতি নামে একজনের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে সোমা। তারপর বছর তিনেক আগে তাদের বিয়েও হয়ে যায়। সেই থেকে দিদিমান কাছেই আশ্রয় পায় সৌম্যজিৎ।
কয়েকদিন আগে স্বামীর সঙ্গে ঝড়গা হওয়ায় মায়ের কাছে আশ্রমে চলে এসেছিল সোমা। শুক্রবার রাতে অরবিন্দও আশ্রমে আসে। স্ত্রী-কে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে এসেছিল সে। অভিযোগ, বাবা-মায়ের পিছু নিয়ে বেরিয়ে গিয়েছিল সৌম্যজিৎ। আর ফিরে আসেনি সে। সকালে তাঁর রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়।
পুলিশ এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। পুলিশ খতিয়ে দেখছে, কী কারণে সোমা ও অরবিন্দের ঝডগড় হয়েছিল। খুনের মামলা রুজু করেছে পুলিশ। এই খুনের পিছনে তাঁদের বিবাহ বহির্ভূত কোনও সম্পর্ক রয়েছ কি না খতিয়ে দেখছে। সম্পত্তির লোভে এই খুন হতে পারে। এদিকটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।