পাহাড়ে কোণঠাসা মোর্চা হিংসা ছেড়ে এবার অনশন আন্দোলনে
হিংসার পথ পেরিয়ে মোর্চা এবার সামিল হচ্ছে অনশন-আন্দোলনে। সর্বদলীয় বৈঠকে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে, ১৫ জুলাই থেকে পাহাড়ের সমস্ত দলের একজন করে নেতা আমরণ অনশনে বসবেন।
পাহাড়ে বনধের পথ থেকে এখনই পিছু হটছে না মোর্চা। মঙ্গলবার সর্বদলীয় বৈঠকে সিদ্ধান্ত হল পাহাড়়ে অনির্দিষ্টকালীন বনধ চলবে। সেইসঙ্গে পাহাড়ের আন্দোলন এবার অন্যখাতে বইয়ে দিতে চাইছে পাহাড়ের দলগুলি। এবার হিংসা ছেড়ে শান্তিপূর্ণ পথে আন্দোলন জারি রাখতেই ঐক্যমত্য হল মোর্চা ও অন্যান্যরা। সেইমতোই পাহাড়ে অনশন-আন্দোলনেই সিলমোহর দেওয়া হল সর্বদলীয় বৈঠকে।
হিংসার পথ পেরিয়ে মোর্চা এবার চলল অনশন-আন্দোলনে। সর্বদলীয় বৈঠকে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে, ১৫ জুলাই থেকে পাহাড়ের সমস্ত দলের একজন করে নেতা আমরণ অনশনে সামিল হবেন। গোর্খাল্যান্ডের দাবিতেই এই আন্দোলন চলবে। যতক্ষণ না কেন্দ্রীয় সরকারের আশ্বাস মিলছে, ততক্ষণ এই আন্দোলন জারি থাকবে।
এদিন সর্বদলীয় বৈঠকে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পাহাড়়ের যে খাদ্যসংকট তৈরি হয়েছে, তার বিরুদ্ধেও আন্দোলনে নামবে মোর্চা ও অন্যান্য দলগুলি। সমতল থেকে পাহাড়ে খাবার নিয়ে যেতে বাধা দিলে, ব্যাগ হাতে মিছিল করে সমতলে আসবে পাহাড়ের মানুষ। পাহাড় থেকে শিলিগুড়ি মহামিছিলের আয়োজন করা হবে।
এদিন পাহাড়ের আন্দোলনে নেতৃত্বের অভাব রয়েছে বলে সমালোচিত হন খোদ বিমল গুরুংও। মাসাবধি আন্দোলন চলছে পাহাড়ে। কিন্তু কোনও নেতাকেই পাহাড়ের আন্দোলনে নেতৃত্ব দিতে দেখা যাচ্ছে না। এই কারণেই নেতারা না থাকায় আন্দোলনের রাশ যোমন আলগা হচ্ছে, একইসঙ্গে নিচুতলার কর্মীদের তাণ্ডব বাড়ছে আন্দোলনের নামে। হিংসাশ্রয়ী হয়ে উঠছে আন্দোলন। অনেক ক্ষেত্রেই তার দায় নিতে হচ্ছে মোর্চা নেতৃত্বকে।
তাই এবার অনশন আন্দোলন শুরু হলে প্রত্যেক দলের নেতারাই সামনের সারিতে আসতে পারবেন। সেইসঙ্গে কেন্রীনিয় সরকারের উপরও চাপ সৃষ্টি করতে পারবেন তাঁরা। মোর্চা-সহ পাহাড়ের রাজনৈতিক দলগুলি মনে করছে একমাত্র কেন্দ্রীয় সরকারই পারে পাহাড় পরিস্থতি নিয়ন্ত্রণে আনতে। কেন্দ্রের তরফে ত্রিপাক্ষিক বৈঠক ডাকা হলেই পরিস্থিতি বদলাতে পারে।