পাহাড় যুদ্ধে মমতাকে ফের চ্যালেঞ্জ বিমল গুরুংয়ের, বনধ তুলতে নয়া শর্ত মোর্চার
সর্বদলীয় বৈঠকে বনধ প্রত্যাহারের দাবিতে বিমল গুরুংয়ের উপর চাপ সৃষ্টি করে পাহাড়ের দলগুলি। তা উপেক্ষা করেই রাজ্যকে বার্তা মোর্চা প্রধানের।
পুলিশি অত্যাচার বন্ধ না হলে বনধ প্রত্যাহার নয় পাহাড়ে। মঙ্গলবার সর্বদলীয় বৈঠক শেষে মোর্চা প্রধান বিমল গুরুং নয়া শর্ত চাপালেন মমতার প্রশাসনের উপর। তিনি এদিন দ্ব্যর্থহীন ভাষায় জানিয়ে দেন, পাহাড়ে শান্তি ফেরাতে হলে বন্ধ করতে হবে পুলিশি অভিযান। নচেৎ পাহাড়ে অনির্দিষ্টকালীন ধর্মঘট চলতেই থাকবে।
এদিন পাহাড়ে সর্বদলীয় বৈঠকের ডাক দিয়েছিল গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিজেপি, জিএনএলএফ, জন আন্দোলন পার্টি, গোর্খা রাষ্ট্রীয় নির্মাণ মঞ্চ-সহ পাহাড়ের অন্যান্য দলের প্রতিনিধিরা। সেখানেই বনধ প্রত্যাহারের দাবিতে গুরুংয়ের উপর চাপ সৃষ্টি করে পাহাড়ের দলগুলি।
এদিন জন আন্দোলন পার্টির সুপ্রিমো হরকা বাহাদুর ছেত্রী মোর্চার উপর চাপ সৃষ্টি করে জানান, অবিলম্বে পাহাড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য বনধ প্রত্যাহার করা জরুরি। পাহাড় থেকে বনধ প্রত্যাহারের এই দাবি মেনে না নিলে তাঁরা সর্বদলীয় বৈঠক বয়কট করবেন বলেও হুমকি দেন হরকা। কিন্তু পাহাড়ে অন্য রাজনৈতিক দলের চাপের সামনে নতি স্বীকার করেননি মোর্চা সুপ্রিমো।
উল্টে বিমল গুরুং জানিয়ে দেন, পাহাড়ে পুলিশি অভিযান বন্ধ করতে হবে সবার আগে। তারপরই পাহাড় থেকে বনধ প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত বিবেচিত হবে। যতদিন না পাহাড়ে পুলিশি অভিযান বন্ধ করা হচ্ছে, ততদিন বনধ প্রত্যাহার করার কোনও প্রশ্নই নেই।
এদিন সর্বদলীয় বৈঠক থেকে কেন্দ্রের হস্তক্ষেপ দাবি করা হয়। একটি কমিটি তৈরি করা হয় সর্বদলীয় বৈঠক থেকে। সেই কমিটি দিল্লিতে গিয়ে পাহাড় সমস্যার সমাধানে দরবার করবে রা্ষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর কাছে। তার আগে স্বরাষ্ট্র দফতরের প্রতিমন্ত্রী কিরণ রিজিজুর সঙ্গে এদিন বৈঠকের কথা ছিল মোর্চার। কিন্তু আবহাওয়া খারাপ থাকায় সময়ে পৌঁছতে পারেননি রিজিজু। ফলে বৈঠক হবে বুধবার। এদিকে দার্জিলিং পরিস্থিতি নিয়ে মঙ্গলবার কেন্দ্রকে রিপোর্ট পাঠিয়েছে রাজ্য।
পাহাড় বনধের নবম দিনেও পরিস্থিতি ছিল থমথমে। শুনশান রাস্তাঘাট। দোকানপাট সব বন্ধ। দু-একজন পর্যটককে দেখা গেলেও তাঁরা সবাই ব্যস্ত সমতলে ফিরতে। পুলিশের গাড়িতে অনেক পর্যটককে পাহাড় ছেড়ে ফিরতে দেখা যায়।