মমতা ফিরতেই শুরু মোর্চার দাদাগিরি, অনির্দিষ্টকালের পাহাড় বনধের ডাক
বিমল গুরুংরা আছেন তাদের মতোই। এক্ষণে এককথা তো পরক্ষণেই তার উল্টো অবস্থান। মোর্চা নেতাদের কীর্তিতে এখন সরগরম রাজ্য-রাজনীতি। আচমকাই পাহাড়ে হিংসা বাধিয়ে দিচ্ছেন, তো পরক্ষণেই পাহাড়ে বনধ।
মোর্চার ফের ভোলবদল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতায় ফিরতেই ফের বনধের রাজনীতিতে ফিরল মোর্চা। অনির্দিষ্টকালের জন্য ফের ডাক দেওয়া হল পাহাড় বনধের। এই বনধ ডেকে সরাসরি রাজ্য সরকারের সঙ্গে সংঘাতের পথেই হাঁটলেন বিমল গুরুংরা।
সিংমারিতে মোর্চার বৈঠকের পর বিমল গুরুং জানান, অনির্দিষ্টকালের জন্য সমস্ত সরকারি অফিস বন্ধ থাকবে। সোমবার থেকে কোনও সরকারি অফিস খুলতে দেওয়া হবে না। তবে এই বনধের আওতা থেকে ছাড় দেওয়া হচ্ছে স্কুল-কলেজ, পরিবহণ, হোটেল ও দোকানপাটকে। পর্যটকদের কোনওরকম সমস্যায় ফেলা হবে না বলে জানানো হয়েছে মোর্চার তরফে।
মোর্চার তরফে আরও জানানো হয়েছে, সোম ও বৃহস্পতিবার ব্যাঙ্ক খোলা থাকবে। তবে কোনওভাবেই জেলাশাসকের অফিস, মহকুমা অফিস, বিডিও অফিস খুলতে দেওয়া হবে না। খুলতে দেওয়া হবে না জিটিএ অফিসও। বিদ্যুৎ দফতরকে এই বনধের আওতা থেকে ছাড়া দেওয়া হলেও সাফ জানানো হয়েছে, বিদ্যুতের অ্যাকাউন্টস সেকশন বন্ধ রাখতে হবে।
তৃণমূল কংগ্রেসের দার্জিলিং জেলা সভাপতি গৌতম দেব জানিয়েছেন, এটা একটা হঠকারী সিদ্ধান্ত। সর্বাত্মকভাবে এই বনধের বিরোধিতা করবে তৃণমূল। মানুষের কাছে আবেদন জানানো হবে যাতে এই বনধ উপেক্ষা করে সকলে যেন রাস্তায় নামেন। প্রশাসনের তরফ থেকেও কড়া হাতে এই বনধের মোকাবিলা করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
শনিবার মোর্চার কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকের সিদ্ধান্ত মতো শুধু অনির্দিষ্টকালের জন্য বনধ ডেকেই ক্ষান্ত থাকেনি মোর্চা, পাহাড়ে কোথাও নেপালি ও ইংরেজি ছাড়া অন্য কোনও ভাষায় সাইনবোর্ড লেখা যাবে না বলে নিষেধাজ্ঞা জারিে করা হয়েছে। বিমল গুরুং-এর অভিযোগ, পাহাড়ের উপর দমন-পীড়ন চালাচ্ছে রাজ্য। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সঙ্গে দেখা করে মোর্চা নেতৃত্ব সেই অভিযোগ জানাবে বলেও জানিয়েছেন গুরুং। সেইসঙ্গে পাহাড়ে মোর্চার আন্দোলন আরও জোরদার করা হবে বলেও হুমকি দিয়েছেন তিনি।