প্রশাসনিক সভাতেও নোটকাণ্ড, মোদীকে পেটিএম-ওয়ালা বলে কটাক্ষ মমতার
‘গরিব চা-ওয়ালা এখন পেটিএম ওয়ালা হয়ে গিয়েছেন। কথায় কথায় তিনি বলেন, আমি ফকির। তা ফকিরের কত টাকা রয়েছে, তা কী জানেন। আমি বলব না, আপনারাই বুঝে নিন।’
বাঁকুড়া, ১৯ ডিসেম্বর : প্রশাসনিক সভা থেকেও বাংলার মুখ্যমন্ত্রী নিশানা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। নোট বাতিল কাণ্ডে আক্রমণ করে মমতা বললেন, গরিব মানুষের রক্ত চুষে কমিশন খেতে দেব না। ভেনেজুয়েলাও টাকা বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, পরে তা ফিরিয়ে নিয়েছে। সবাই বুঝতে পারছেন সমস্যার কথা, শুধু বুঝতে পারছেন প্রধানমন্ত্রী।
এদিন মমতা ব্যক্তিগত আক্রমণও করেন। তিনি বলেন, 'গরিব চা-ওয়ালা এখন পেটিএম ওয়ালা হয়ে গিয়েছেন। কথায় কথায় তিনি বলেন, আমি ফকির। তা ফকিরের কত টাকা রয়েছে, তা কী জানেন। আমি বলব না, আপনারাই বুঝে নিন।'
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন প্রশ্ন তোলেন, গরিব মানুষ নিজেদের উপার্জন করা টাকা তুলতে পারছেন না। রোজগারের যে টাকা ব্যাঙ্কে রেখেছিলেন তা কি আদৌ আছে? কারও হাতে টাকা নেই। কেউ জানেন না তাঁদের ভবিষ্যৎ কী? কেন্দ্রের শাসকদল বিজেপিকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, পরিকল্পনা করে সম্প্রীতি নষ্ট করার চক্রান্ত চলছে। কিন্তু বাংলার মাটিতে দাঙ্গা বাঁধাতে দেব না।
আমরা শান্তি রক্ষা করতে বদ্ধপরিকর। আমাদের সরকার আসার পরই জঙ্গলমহলে শান্তি প্রতিষ্ঠা হয়েছে। বিগত সরকারের আমলে শান্তি ছিল না। অশান্তি লেগেই থাকত। এলাকায় যত শিশু জন্মাবে, তাদের সবাইকে একটি করে গাছের চারা দেওয়া হবে। এই গাছ শিশুটিকে নিজের পায়ে দাঁড়াতে সাহায্য করবে। এর ফলে বাড়বে সবুজও। পরিবেশ দূষণ মোকাবিলা করা যাবে।
কন্যাশ্রী, যুবশ্রী, সমব্যাথী প্রকল্প চালু করা হয়েছে। শ্মশানঘাট সুরক্ষিত করার জন্য বিশেষ পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। বাঁকুড়ায় চারটি হাসপাতাল করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। মুকুটমণিপুর, বিষ্ণুপুরকে ঘিরে পর্যটন পরিকল্পনায় কাজ শুরু হয়েছে।