আর লাইনে নয়, নোট বদলাতে বাড়িতে পোস্ট অফিস
আর লাইন দিতে হবে না। পোস্ট অফিসই পৌঁছে যাবে আপনার বাড়িতে। গ্রামে গ্রামে ঘুরে বদলে দেবে অচল নোটগুলি।
জলপাইগুড়ি,
১৬
নভেম্বর
:
আর
লাইন
দিতে
হবে
না।
পোস্ট
অফিসই
পৌঁছে
যাবে
আপনার
বাড়িতে।
গ্রামে
গ্রামে
ঘুরে
বদলে
দেবে
অচল
নোটগুলি।
আজ,
বুধবার
থেকেই
এই
অভিনব
পরিষেবা
নিয়ে
হাজির
জলপাইগুড়ি
ডাকঘর।
জেলা
ডাকঘরের
পক্ষ
থেকে
শুরু
করা
হচ্ছে
মোবাইল
ক্যাশ
এক্সচেঞ্জ
কাউন্টার
পরিষেবা।
জেলার
অধিকাংশ
এলাকাতেই
নেই
ব্যাঙ্কিং
পরিষেবা।
সেই
কারণেই
ডাকঘরের
পক্ষ
থেকে
এই
উদ্যোগ
গ্রহণ
করা
হয়েছে
বলে
জানালেন
জলপাইগুড়ি
পোস্ট
অফিসের
সিনিয়র
সুপারিনটেনডেন্ট।
একজন
সর্বাধিক
এক
হাজার
টাকা
বদলাতে
পারবেন।
সে
জন্য
তাঁকে
পরিচয়পত্র
দেখাতে
হবে।
জেলা
পুলিশ
সুপারের
কাছে
নিরাপত্তা
চাওয়া
হয়েছে।
এদিন
সরস্বতীপুর
চা
বাগান
এলাকা
থেকেই
শুরু
হচ্ছে
মোবাইল
ক্যাশ
এক্সচেঞ্জ
কাউন্টার
পরিষেবা।
৫০০ ও হাজার টাকার নোট বাতিল ঘোষণার পর থেকেই দোশজুড়ে এক অদ্ভুত অর্থসঙ্কট তৈরি হয়েছে। আটদিন কেটে যাওয়ার পরও মানুষের হাতে টাকা নেই। তীব্র হাহাকার শুরু হয়েছে শহর-গ্রাম সর্বত্রই। নোট পরিবর্তনের জন্য লম্বা লাইন ব্যাঙ্ক এবং পোস্ট অফিস, এটিএমে। টাকার জোগানে অপ্রতুলতা থাকলেও গ্রাহক পরিষেবা দিতে ব্যাঙ্ক ও ডাকঘরকর্মীদের অতিরিক্ত পরিশ্রমে খামতি নেই।
প্রতিদিন অতিরিক্ত সময় কাজ ও ছুটি বাতিল করেও কাজ করছেন প্রত্যেকে। এরই মধ্যে এবার জলপাইগুড়ির গ্রামীণ অঞ্চলের সাধারণ মানুষের জন্য জলপাইগুড়ি ডাকঘরের তরফে বৃহত্তর পরিষেবা আনা হল। আজ থেকে আর ব্যাঙ্ক বা পোস্ট অফিসে লাইনে দাঁড়াতে হবে না। পোস্ট অফিস থেকে গাড়ি গ্রামাঞ্চলে ঘুরে বাড়ি বাড়ি পৌঁছে বদলে দেবে বাতিল নোট।
সুপারিন্টেনডেন্ট এম এস নিতু জানান, জলপাইগুড়ির বেশিরভাগ প্রত্যন্ত গ্রামীণ অঞ্চলে ব্যাঙ্কিং পরিষেবা নেই। সেকারণে অনেকে বাতিল নোট বদল করতে পারছেন না। তাই পোস্ট অফিসের পক্ষ থেকে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন গ্রামে পোস্ট অফিসের যে গাড়িগুলি যাবে, তার নাম দেওয়া হয়েছে মোবাইল ক্যাশ এক্সচেঞ্জ কাউন্টার। এই গাড়ির কাউন্টার থেকেই এক হাজার ও ৫০০ টাকার নোট বদল করা যাবে।