রাজনীতি থেকে সন্ন্যাস নিতে ইচ্ছাপ্রকাশ, রাজ্যসভার সাংসদ পদ ছাড়তে চলেছেন মিঠুন চক্রবর্তী
এক মহিলার সঙ্গে সম্পর্ক ও লিভ ইনের জেরেই এই হত্যাকাণ্ড ঘটে। ওই মহিলা অন্তঃস্বত্তা হয়ে পড়েন লিভ ইনের ফলে। এরপরই সম্পর্কে ছেদ ঘটে যায় তাদের।
কলকাতা, ২৫ ডিসেম্বর : হঠাৎই রাজনীতির আঙিনা থেকে একেবারে আড়ালে চলে গিয়েছেন বিশিষ্ট অভিনেতা রাজ্যসভার সাংসদ মিঠুন চক্রবর্তী। বিশেষ করে সারদা কাণ্ডে তাঁর নাম জড়ানোর পর তিনি একবারে অন্তরালে চলে যান। এমনকী রাজ্যসভাতেও তাঁকে হাজিরা দিতে দেখা যায়নি। রাজ্যসভাতেও তিনি ছুটি নেন চিঠি পাঠিয়ে। এবার সেই মিঠুন চক্রবর্তী রাজনীতি থেকে পাকাপাকি অবসর নিতে চান। এমনই জল্পনার সৃষ্টি হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। মিঠুন চক্রবর্তী ঘনিষ্ঠ মহলে এই ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।
তৃণমূল কংগ্রেসও মিঠুন চক্রবর্তীর দীর্ঘ অনুপস্থিতি নিয়ে ভাবিত। তবে এখনও তাঁর স্থলাভিষিক্ত কে হবেন, তা স্থির করেনি তৃণমূল সু্প্রিমো। আসলে মিঠুন চক্রবর্তী কী সিদ্ধান্ত নেন, তা জানার অপেক্ষায় আছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদি মিঠুন চক্রবর্তী একান্তই সরে যেতে যান বা সরে যান, তখনই এ ব্যাপারে ভাবতে চান তিনি।
ঘনিষ্ঠমহলে মিঠুন চক্রবর্তী জানিয়েছেন, তিনি শারীরিকভাবে অসুস্থ। কয়েকদিন আগে তাঁকে হাসপাতালেও ভর্তি হতে হয়। তাঁর বিশ্রামের প্রয়োজন রয়েছে। শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়েই তিনি রাজনীতি থেকে সন্ন্যাস নিতে চান। তৃণমূলকেও তিনি ইতিমধ্যে জানিয়ে দিয়েছেন তাঁর ইচ্ছার কথা। উল্লেখ্য তাঁর রাজ্যসভার মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ২০২০ সালের এপ্রিলে। তৃণমূলের পক্ষ থেকে সুবিষয়ে মন্তব্য করব।
উল্লেখ্য, মিঠুন চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে সারদাকাণ্ডে অভিযোগ ওঠে। তিনিই একমাত্র অভিযুক্ত, যিনি সঙ্গে সঙ্গে ইডি দফতরে গিয়ে তাঁর সারদা থেকে নেওয়া টাকা ফেরৎ দেন। তারপর থেকেই তিনি নিজেকে গুটিয়ে নেন প্রত্যক্ষ রাজনীতি থেকে। রাজ্যসভাতে যাওয়াও বন্ধ করে দেন।