তপ্ত পাড়ুইয়ে পুলিশকে বোমা, পরস্পরকে দুষছে তৃণমূল-বিজেপি, মৃত তিন
তৃণমূল কংগ্রেসের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের খাসতালুকে কিছুদিন ধরেই উত্তেজনা ছিল। মাকড়া গ্রামে বিজেপির প্রভাব ক্রমশ বাড়তে থাকায় এখানে শাসক দলের গুন্ডারা লোকজনকে শাসাচ্ছিল বলে অভিযোগ। সিপিএম জমানায় যেমন মুখোশপরা দুষ্কৃতীরা গ্রাম দখলে নামত, তেমনভাবেই মাকড়া গ্রামে অভিযান শুরু হয়। জেলার বিজেপি নেতাদের দাবি, বিরোধীদের চিহ্নিত করে শাসায় গুন্ডারা। আমজনতাকে ভয় দেখাতে বোমা ছোড়ে। খবর পেয়ে পুলিশ এলে তাদের উদ্দেশেও বোমা মারা হয়। গৃহস্থ বাড়িতে যথেচ্ছভাবে লুটপাঠ চালানো হয়।
বিজেপির জেলা সভাপতি দুধকুমার মণ্ডল বলেন, "এ জন্য তৃণমূলই দায়ী। তারা সংগঠিতভাবে হামলা চালিয়েছে। আমি সকালেই এসপি সাহেবকে বলেছিলাম যে, হামলার ছক কষা হচ্ছে। কিছু করুন। কিন্তু পুলিশ প্রথমে গুরুত্বই দেয়নি। পুলিশকে নিয়ন্ত্রণ করছে শাসক দলের নেতা-মন্ত্রীরা। তাই তারা পঙ্গু হয়ে পড়েছে।" তৌসিফ শেখ তাদের কর্মী ছিল বলে দাবি করেছে বিজেপি।
অন্যদিকে, তৃণমূল পাল্টা কাঠগড়ায় তুলেছে বিজেপিকে। শাসক দলের দাবি, গায়ের জোরে গ্রামে নিজেদের আধিপত্য কায়েম করতে চাইছে বিজেপি। সাধারণ মানুষকে ভয় দেখাতে তারাই বোমাবাজি করেছে। তৃণমূল নেতাদের দাবি, শেখ সুলেমান তাদের সমর্থক ছিল। প্রশ্ন উঠেছে, শেখ সুলেমানের বাড়ি দুবরাজপুরে হওয়া সত্ত্বেও কেন সে সাতসকালে এসেছিল মাকড়া গ্রামে?
পরে অনুব্রতবাবু সংবাদমাধ্যমকে বলেন, "যে দুষ্কৃতীরা আগে সিপিএমে ছিল, এখন তারা বিজেপিতে এসেছে। তারাই বাংলায় অশান্তি পাকাচ্ছে। বিজেপি হল দাঙ্গাবাজদের দল। দাঙ্গা বাধানোই ওদের উদ্দেশ্য।"
দুষ্কৃতীদের ধরতে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।