বামেদের ভোট কেন রামে যাবে? তৃণমূলকে সিপিএমের কাছে যাওয়ার পরামর্শ মানস ভুঁইয়ার
। বিজেপিকে ঠেকানোর তেমনই দাওয়াই এবার তৃণমূল নেতা মানস ভুঁইয়ার মুখে। দলীয় সুপ্রিমো যতই বিজেপিকে গুরুত্ব দেওয়ার কথা অস্বীকার করুন, বিজেপি যে রাতের ঘুম কেড়েছে তৃণমূলেরও, তা স্পষ্ট তাঁদের কথা বার্তাতেই।
পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৮ এপ্রিল : রাজ্যে বিজেপি-র ভোট বাড়ছে। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বাড়ছে উদ্বেগ। কী করে ঠেকানো যায় বিজেপি-কে। তার উপার বের করতে তৎপরতা তুঙ্গে। বিজেপিকে ঠেকানোর তেমনই দাওয়াই এবার তৃণমূল নেতা মানস ভুঁইয়ার মুখে। দলীয় সুপ্রিমো যতই বিজেপিকে গুরুত্ব দেওয়ার কথা অস্বীকার করুন, বিজেপি যে রাতের ঘুম কেড়েছে তৃণমূলেরও, তা স্পষ্ট তাঁদের কথা বার্তাতেই।
বিশেষ করে দক্ষিণ কাঁথির নির্বাচনে অভাবিত সাফল্যের পর বিজেপি-র গুরুত্ব বেড়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। এক লাফে দুইয়ে উটে আসা, তাও বাম ও কংগ্রেসকে একেবারে অপ্রাসঙ্গিক করে, তাই ভাবনার বিষয় বটে বিজেপি। তৃণমূলের গায়ে কিন্তু এখনও সে অর্থে আঁচড় পড়েনি। কারণ তাঁদের ভোটও বেড়েছে, বেড়েছে মার্জিনও। তবু খোঁচা কিন্তু একটা রয়ে গেছেই তৃণমূলীদের মনে।
সেই ভাবনারই বহিঃপ্রকাশ এবার শোনা গেল মানস-কণ্ঠে। পশ্চিম মেদিনীপুরের সবংয়ে মানস ভুঁইয়া বলেন, বামের ভোট কেন রামে যাবে? বামেদের একটা নীতি রয়েছে। তাঁরা একটা নীতির উপর ভিত্তি করে রাজনীতি করেছে এতদিন, তাঁরা কেন নীতিহীনতার দিকে ছুটে যাবে!
এ প্রসঙ্গে তিনি তৃণমূল নেতা-কর্মীদের পরামর্শ দেন, আপনারা সিপিএম তথা বাম কর্মীদের সঙ্গে কথা বলুন। তাঁদেরকে বোঝান যে, কখনই বিজেপি-তে নয়। যদি সিপিএম বা বামেদের সঙ্গে থাকা সমস্যা বলে মনে হয়, তৃণমূলের ছাতার তলায় আসুন। কীভাবে তাঁদের বুঝিয়ে তৃণমূলে আনা যায়, তার পরামর্শ দেন মানসবাবু।
শুধু মানসবাবুই নন, বামেদের ভোটব্যাঙ্ক ভেঙে বিজেপি-র দিকে চলে যাওয়ায় রীতিমতো উদ্বিগ্ন তৃণমূলের শীর্ষস্থানীয় নেতারা। এমনকী স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও ঘনিষ্ঠ মহলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। বিজেপিকে ঠেকাতে তাই ভাবনা-চিন্তা শুরু হয়েছে তৃণমূলের অন্দরেও।