ধুতি-পাঞ্জাবি পরিহিত ব্যক্তিকে মল-এ ঢুকতে বাধা, পরে ইংরাজিতে কথা বলতেই যা ঘটল , দেখুন ভিডিও
অভিজাত এই মলে ধুতি-পাঞ্জাবি পরিহিত হয়ে ঢুকছিলেন পরিচালক আশিস অভিকুন্তক। আর 'ধুতি' পরে যাওয়ার জন্যই , আশিসকে মল-এ ঢুকতে দেওয়া হয়নি।
শহর কলকাতা যেভাবে একের পর এক 'মল'-এ ঢেকে যাচ্ছে , তাতে অনেকেই মজা করে বলে থাকেন, 'কল্লোলিনী তিলোত্তমা' থেকে শহর 'মল্লোলিনি মলোত্তমা'-য় পর্যবসিত হয়েছে! আর এবার শহরের 'মল সংস্কৃতির' এক ঘৃণ্যরূপ উঠে এল কোয়েস্ট মলের শনিবারের ঘটনায়। অভিজাত এই মলে ধুতি-পাঞ্জাবি পরিহিত হয়ে ঢুকছিলেন পরিচালক আশিস অভিকুন্তক। আর 'ধুতি' পরে যাওয়ার জন্যই , আশিসকে মল-এ ঢুকতে দেওয়া হয়নি। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই অভিযোগ করে একটি পোস্ট করেন মডেল অভিনেত্রী দেবলীনা সেন।[আরও পড়ুন:অনলাইনে এই কাজগুলি করলে যেকোনও সময় গ্রেফতার হতে পারেন]
ধুতি পাঞ্জাবী পরিহিত ওই পরিচালককে জানিয়ে দেওয়া হয়, তাঁর এই পোশাক মল-এ প্রবেশের জন্য উপযুক্ত নয়। তবে কেন উপযুক্ত নয়, সে প্রশ্নের কোনও সদুত্তর দিতে পারেনি কোয়েস্ট মল কর্তৃপক্ষ। দেবলীনা জানিয়েছেন, যখন মল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে ইংরাজিতে বচসা শুরু করেন, তখন তখন দেবলীনা ও সেই পরিচালককে ঢুকতে ছাড় দেওয়া হয়।[আরও পড়ুন:আজব এক ছবি, যা নিয়ে তোলপাড় ইন্টারনেট]
They cited security reasons for the same. This is a clear case of social profiling. They only let him in when he argued in English: Friend pic.twitter.com/R1g0fgkoKn
— ANI (@ANI_news) July 15, 2017
কেয়োস্ট মলে ওই পরিচালককে ঢোকার সময়ে বলা হয়, কারোর ধুতি বা লুঙ্গি পরে এই মলে ঢোকার অনুমতি নেই। পাশপাশি বলা হয়, এ নিয়ে নিরাপত্তাজনিত সমস্যা হতে পারে। এবিষয়ে একটি ভিডিও ও পোস্ট করেন দেবলীনা। যাতে গোটা কাণ্ডটি ধরা পড়ে। নিজের পোস্টে , দেবলীনা প্রশ্ন তোলেন, যদি কোনও ইংরাজি ভাষা না জানা ব্যক্তি ধুতি পরে কোয়েস্ট মলে যেতেন, তাহলে কী তিনি ঢুকতে পারতেন না ? মল-এ প্রবেশের মাপকাঠি কি কারওর ভাষা বা পোশাকের ওপর নির্ভর করতে পারে?
এই নক্কারজনক কাণ্ডের মাধ্যমে কলকাতার মুক্যাম্বো রেস্তোরাঁর স্মৃতিকে ফের একবার উসকে দিল কোয়েস্টমল কর্তৃপক্ষ। মুক্যাম্বো রেস্তোরাঁতে এক গাড়ি চালককে ঢুকতে দেওয়া হয়নি 'ড্রেসকড' ইস্যুতে। সেই গাড়ি চালকের পোশাক 'নোংরা' বলে, তাঁর সাথে এই ব্যবহার করা হয়। আর তারপর কোয়েস্ট মলর ঘটনা। যেখানে ভারতীয় পোশাক 'ধুতি-পাঞ্জাবি' কে মলের উপযুক্ত বলে মনে হয়নি কোয়েস্ট মল কর্তৃপক্ষের। উল্লেখ্য, গোটা ঘটনায় এই মুহুর্তে সমালোচনার ঝড় বইছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সময়োপযোগী কৃষ্টি ও আধুনিক ভাবনা চিন্তার পীঠস্থান শহর কলকাতার বুকে এই ধরণের ঘটনা , ফের একবার শহরের সংস্কৃতিবোধকে প্রশ্নের মুখে দাঁড় করাল বলেই অনেকে মনে করছেন।