পুরুলিয়ায় সূচবিদ্ধ শিশুর মাকে নিজের স্ত্রী বলে দাবি ধৃত সনাতনের, উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য
পুরুলিয়া সূচকাণ্ডে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য । ঘটনার মূল অভিযুক্ত সনাতন ঠাকুর , এবার নিজের গা বাঁচাতে দোষ ঠেলে দিচ্ছে তার পুত্রবধূর দিকে।
পুরুলিয়া সূচকাণ্ডে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য । ঘটনার মূল অভিযুক্ত সনাতন ঠাকুর , এবার নিজের গা বাঁচাতে দোষ ঠেলে দিচ্ছে তার পুত্রবধূর দিকে। সনাতনের দাবি , শিশুটির গায়ে সূচ ফুটিয়েছে তার পূত্রবধু। এই ঘটনায় কোনওভাবেই দোষী নয় সনাতন, বলে জানিয়েছে সে।
সনাতনের বক্তব্য , তাকে ফাঁসানো হচ্ছে। নিজেকে সম্পূর্ণ নির্দোষ বলে দাবি করেছে সনাতন। সানতন আরও জানিয়েছে, মৃত শিশুটির মা মঙ্গলা গোস্বামী তার স্ত্রী। স্বামী পরিত্যক্তা মঙ্গলাকে নাকি সনাতন বিয়ে করে বলে জানিয়েছে পুলিশি জেরার মুখে। এছাড়াও সনাতনের বক্তব্য, শিশুটির সারা শরীরে নাকি সূচ বিঁধিয়েছে সনাতনের পূত্রবধু।
এদিকে, সনাতনের বক্তব্যের বিশ্বাসযোগ্যতা নেই বলেই কার্যত মনে করছে পুলিশের একটা মহল। সূ্ত্রের খবর, এই ঘৃণ্য অপরাধে যে সনাতনের হাত রয়েছে সেবিষয়ে মোটামুটি নিশ্চিত পুলিশ। সন্তানকে সূচ ফোটানর বিষয়ে মা মঙ্গলার বক্তব্য কী , তাও জানবে পুলিশ। ঘটনার কিনারা করতে সনাতন ও মঙ্গলাকে সামনাসামনি বসিয়ে জেরা করা হবে বলেও খবর।
উল্লেখ্য, উত্তর প্রদেশের পিপড়ি থেকে সানাতনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে তাকে আনা হয় রাজ্যে। রাত দেড়টা নাগাদ শক্তিপুঞ্জ এক্সপ্রেসে আসানসোলে নিয়ে যাওয়া হয় সূচকণ্ডের মূল অভিযুক্ত সনাতন ঠাকুরকে। এরপরই সনাতনকে পুরুলিয়া নিয়ে আসা হয়। এদিন বেলায় সনাতনকে পুরুলিয়া জেলা আদালত তোলা হবে । উল্লেখ্য, সনাতনের বিকৃত যৌন লালসার শিকার শিশুটি গায়ে সূচবিদ্ধ হয়ে মারা যায়। সেই ঘটনার জেরেই অভিযুক্ত সনাতনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।