জরুরী অবতরণের অনুমতি না পেয়ে মমতার বিমান আধঘন্টা চক্কর কাটল মাঝ আকাশে, খুনের চেষ্টার অভিযোগ দলের
বিমানে জ্বালানী প্রায় তলানিতে ছিলজরুরী অবতরণের অনুমতি না মেলায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিমান আধঘন্টা চক্কর কাটল মাঝ আকাশে।
কলকাতা, ৩০ নভেম্বর : বিমানে জ্বালানী প্রায় তলানিতে ছিল, জরুরী অবতরণের অনুমতি না মেলায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিমান আধঘন্টা চক্কর কাটল মাঝ আকাশে। এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীকে খুনের ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল বলে অভিযোগ তোলা হয়েছে তৃণমূলের তরফে।
পাটনায় সভার কাজ সারার পর বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর বিমান সন্ধ্যা ৭টা ৩৫ মিনিট নাগাদ পাটনা থেকে ওড়ে। রাত ৮টা নাগাদ জ্বালানি কম থাকায় অবতরণ করতে চান পাইলট। ৮টা ১৩ মিনিট নাগাদ কলকাতা বিমান বন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করতে সক্ষম হন পাইলট। কিন্তু এটিসির তরফে অবতরণের জন্য সবুজ সঙ্কেত তখন মেলেনি।
পাইলটকে জানানো হয়, রানওয়ে ফাঁকা নেই। এখনই বিমান অবতরণ করা সম্ভব নয়। অবতরণের অনুমতি না পেয়ে টানা ৩০ মিনিট কলকাতার আকাশে চক্কর দিতে থাকে বিমানটি। বিমান বন্দর থেকে সাতটি বিমান ওঠা-নামার পর মুখ্যমন্ত্রীর বিমান ৮টা ৪৫ মিনিট নাগাদ কলকাতা বিমানবন্দরে নামানো হয়। মুখ্যমন্ত্রীর বিমানে এই বড়সড় বিপত্তির কারণ খুঁজতে তদন্ত শুরু করেছে ডিজিসিএ।
ফিরহাদ হাকিমের অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রীকে খুনের ষড়যন্ত্র চলছে। সেই কারণে পরিকল্পিতভাবে এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীও এই ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন। জ্বালানি শেষ হেয় আসায় যে কোনও মুহূর্তে বড়সড় বিপদ ঘটতে পারত। অথচ যে বিমানে মুখ্যমন্ত্রীর মতো ভিভিআইপি রয়েছেন, যে কোনও সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারত, তা জানা সত্ত্বেও কেন বিমানকে জরুরী অবতরণের অনুমতি দেওয়া হল না তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।