মিরিকে আজ ‘বিজয় উৎসব’, তিন দশক পর মিরিক জয় করে কী বার্তা দেবেন মুখ্যমন্ত্রী
মিরিক জয়ের পর মুখ্যমন্ত্রীর প্রথম জনসভা ঘিরে উন্মাদনা পাহাড়ে। মিরিকবাসী যেমন মুখ্যমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে তৈরি, মুখ্যমন্ত্রীও চাইছেন মিরিকবাসীকে উপহারে ভরিয়ে দিতে।
চারদিনের সফরে সোমবার পাহাড়ের উদ্দেশ্যে রওনা দিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পুরভোটে জয়ের পর এই প্রথম মিরিকে সভা করবেন মুখ্যমন্ত্রী। মিরিক তৈরি মুখ্যমন্ত্রীকে স্বাগত জানানোর জন্য। মিরিকের সভা সেরেই এদিন বিকেলেই তিনি রওনা দেবেন দার্জিলিংয়ের উদ্দেশ্যে। ৮ জুন পাহাড়ে মন্ত্রিসভার বৈঠক করবেন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিন মিরিকের জনসভায় মুখ্যমন্ত্রী বেশ কিছু নতুন প্রকল্পের উদ্বোধন করতে পারেন। তবে আদতে এই জনসভা রূপ নিচ্ছে তৃণমূলের বিজয় উৎসব পালনে। সেই উপলক্ষেই সেজে উঠেছে মিরিক। তিন দশক পর পাহাড়ে প্রথম সারির কোনও রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় এসেছে। তা স্মরণ করেই এদিন মিরিক উৎসবমুখর।
মুখ্যমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে তৈরি হয়েছে বিশাল তোরণ। রাস্তার দু'ধার ছেয়ে গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর ছবি সম্বলিত বিশাল বিশাল ফ্লেক্সে। যেদিকে দু'চোখ যায় শুধু তৃণমূলের ফ্ল্যাগ, পতাকা, ফেস্টুন। মিরিক জয়ের পরই সরে গিয়েছে মোর্চার সমস্ত নিশান। সেখানে পত পত করে উঠছে ঘাসফুলের পতাকা। পুরসভা রূপ নিয়েছে নীল-সাদা রঙে।
মিরিকে মুখ্যমন্ত্রীর এই সভার ব্যবস্থাপনায় রয়েছেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। তিনি বলেন, মিরিক জয়ের পর মানুষ অপেক্ষা করে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীর আগমনের জন্য। তাঁরা কেউ বিজয় উৎসবে নামেননি। মুখ্যমন্ত্রী পাহাড়ে এলেই বিজয় উৎসব পালন করবেন। এখন বিজয় উৎসব মুখরিত জনসভা থেকে মিরিকের জন্য কী দিশা দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তাই দেখার।
এদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাহাড় সফর চলাকালীন মোর্চা বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করবে। প্রতিদিন দু'ঘণ্টা করে বিক্ষোভ দেখাবেন মোর্চা সমর্থকরা। পাহাড়জুড়ে দু'ঘণ্টা আলো নিভিয়ে এই প্রতিবাদ চলবে। মুখ্যমন্ত্রীর এই সফরে যাতে কোনও গন্ডগোল না হয়, সে ব্যাপারে প্রশাসন তটস্থ। প্রশাসন কড়া হাতে তা দমন করতে চাইছে। প্রয়োজনে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে মোর্চার প্রতিবাদ কর্মসূচি প্রতিহত করা হতে পারে।