বর্ধমান ভেঙে দু’ভাগ, উন্নয়নে দরাজ হস্ত মমতা, রানিগঞ্জে পুনর্বাসন ঘোষণা
আরও একটা জেলা বাড়ল পশ্চিমবঙ্গে। রাজ্যের ২৩ তম জেলা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করল বর্ধমান পশ্চিম। বর্ধমানকে ভেঙে দু’ টুকরো করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নতুন জেলার উন্নয়নে দরাজ হস্ত।
বর্ধমান, ৭ এপ্রিল : আরও একটা জেলা বাড়ল পশ্চিমবঙ্গে। রাজ্যের ২৩ তম জেলা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করল বর্ধমান পশ্চিম। বর্ধমানকে ভেঙে দু' টুকরো করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নতুন জেলার উন্নয়নে দরাজ হস্ত। আসানসোলকে শুধু জেলা সদর হিসেবে গড়ে তোলাই নয়, জেলায় যাবতীয় উন্নয়নে আশ্বাস মুখ্যমন্ত্রী। সঙ্গে বহু প্রকল্পে বরাদ্দ ঘোষণাও করে দিলেন তিনি।
মুখ্যমন্ত্রীণ কল্যাণে মাত্র এক মাসে কালিম্পং, ঝাড়গ্রাম ও পশ্চিম বর্ধমান নয়া তিন জেলার আবির্ভাবে রাজ্যের জেলা সংখ্যা পৌঁছে গিয়েছে ২০ থেকে ২৩-এ। এদিন বর্ধমান ভাঙল। শুক্রবার থেকে বৃহত্তম জেলা বর্ধমানের পরিচিতি হল পূর্ব বর্ধমান ও পশ্চিম বর্ধমান নামে। পশ্চিম পেল শিল্পাঞ্চল। আর পূর্ব পেল কৃষি। সেইসঙ্গ মিহিদানা-সীতাভোগ পেল পূর্ব। এদিনই উদ্বোধন হয়ে গেল মিষ্টি হাবেরও।
নতুন জেলার জনসংখ্যা প্রায় ২৯ লক্ষ। মোট ১০টি বিধানসভা নিয়ে গঠিত হল নয়া জেলা পশ্চিম বর্ধমান। আটটি ব্লক থাকছে এই জেলায়। দুর্গাপুর মহকুমার অন্তর্গত কাঁকসা, দুর্গাপুর-ফরিদপুর, পাণ্ডবেশ্বর ও অণ্ডাল এবং আসানসোল মহকুমার রানিগঞ্জ, জামুরিয়া, বারাবনি ও আসানসোল ব্লক নিয়ে পশ্চিম বর্ধমান। পূর্ব বর্ধমানে থাকছে চার মহকুমার ২৩টি ব্লক।
এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেন, রানিগঞ্জের ধসপ্রবণ এলাকায় পুনর্বাসন দেওয়া হবে। বাড়ি প্রকল্পে ৪০ কোটি বরাদ্দ করা হচ্ছে। এই প্রকল্পে ৪৫ হাজার মানুষের জন্য বাড়ি বানিয়ে দেবে সরকার। ক্ষুদ্র শিল্পের উন্নয়নেও বরাদ্দ করা হচ্ছে ১২ কোটি টাকা। আসানসোলে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল গড়ে তোলা হবে বলে এদিন ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের যোগাযোগকারী রাস্তা তৈরি হচ্ছে এই জেলা ছুঁয়ে।
এদিন বেসরকারি হাসপাতাল ও নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষকে বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, বেশ কয়েকটি নার্সিংহোম নিয়ে আমার কাছে রিপোর্ট এসেছে। সিএমওএইচ ও ডিএমকে আমি বিষয়টি দেখতে বলেছি। সমস্ত নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ একটু সহানুভূতি নিয়ে গরিব মানুষের চিকিৎসার ব্যবস্থা করুন। পরের বার জেলায় এসে পর্যালোচনা বৈঠকে আমি সমস্ত খবর নেব। চিকিৎসকদের অভয় দেন মুখ্যমন্ত্রী। সেইসঙ্গে তিইন পরিসংখ্যান তুলে ধরেন সরকারি হাসপাতালে কী কী পরিষবা চালু হয়েছে।