মোর্চার দাঙ্গায় অসহায় পর্যটকদের দল, পাশে দাঁড়ালেন মমতা
পর্যটনের ভরা মরসুম। আর তারমধ্যেই দার্জিলিঙে গোর্খা জনমুক্তির মোর্চার হিংসাত্মক আন্দোলন। যাতে ভীত সন্ত্রস্ত পর্যটকদের দল। ফের কি পাহাড়ে জ্বলে উঠল আগুন? আতঙ্ক আর উদ্বেগে ভরা মুখে এখন এমনই সব প্রশ্ন।
মোর্চার ডাকা বনধে বিপাকে পর্যটকরা। সমতলে নামতে ভোর তিনটে-সাড়ে তিনটে থেকেই হোটেল ছেড়ে রাস্তায় নেমেছেন বহু পর্যটক। দোকান-পাট বন্ধ থাকায় জল নেই-খাবার নেই।সকাল থেকে দার্জিলিং -এর বিভিন্ন জায়গায় মোর্চার ডাকা বনধের সমর্থনে পিকেটিং চললেও, স্থানীয় বাসিন্দাদের অনেকেই পর্যটকদের পাশে। তবুও বিভিন্ন জায়গায় স্থানীয় বাসিন্দারা জল-মুড়ি তখনকার মতো খিদে মেটানোর ব্যবস্থা করেছেন। এরই মধ্যে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরাও।
মোর্চার আন্দোলনের ধরন নিয়েও কটাক্ষ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর বক্তব্য, পর্যটক তাড়িয়ে এটা কী ধরনের আন্দোলন। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে প্রতিবাদ করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। পর্যটকদের বিন্দুমাত্র অসুবিধা হবে না বলেও আশ্বস্ত করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সরকারি ব্যবস্থাপনায় দার্জিলিং-এ উত্তরবঙ্গ পরিবহনের বাস আসতে শুরু করেছে। অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে যাঁরা নাম লিখিয়ে তাঁরাই আগে সুযোগ পাচ্ছেন। এক্ষেত্রে এনজেপি থেকে রেলের টিকিট কিংবা বাগডোগরা থেকে বিমানের টিকিট রয়েছে তাঁরা আগে ফেরার সুযোগ পাচ্ছেন।
বেলা ১১টা থেকে বিশেষ বাস পর্যটকদের সমতলে নামিয়ে আনছে। দু'ঘণ্টা অন্তর চালানো হচ্ছে বাস। শিলিগুড়ির তেনজিং নোরগে বাস থেকে টার্মিনাস থেকেও কলকাতায় ফেরার জন্য বিশেষ বন্দোবস্ত করা হয়েছে সরকারের তরফে। কলকাতার ফেরার জন্য কোনও ভাড়া নেওয়া হচ্ছে না পর্যকদের কাছ থেকে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় সমস্ত সরকারি অফিসে ছুটি বাতিল করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। ম্যালে বিশেষ হেল্প ডেস্ক করা হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে। হেল্প ডেস্কের নম্বর- ০৩৫৪২২৫৫৭৪৯২৪