পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় বিদায় মহাশ্বেতা দেবীকে
কলকাতা, ২৯ জুলাই : পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় প্রয়াত সাহিত্যিক মহাশ্বেতা দেবীর শেষকৃত্য সম্পন্ন হল এদিন কেওড়াতলা মহাশ্মশানে। তার আগে এদিন সকাল ১০ টা থেকে ১২টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত প্রিয় লেখিকার দেহ শায়িত ছিল রবীন্দ্রসদনে। আমজনতা সেখানে গিয়ে তাঁকে শ্রদ্ধা জানাতে পারবে এটা জানার পর সকাল থেকে ভিড়ে ঠাসা ছিল রবীন্দ্রসদন চত্বর। [প্রয়াত 'হাজার চুরাশির মা'-র স্রষ্টা মহাশ্বেতাদেবী, প্রতিক্রিয়ায় কে কি বললেন...]
এরপরে এদিন দুপুর ১ টা নাগাদ মহাশ্বেতাদেবীর দেহ নিয়ে শেষযাত্রা শুরু হয় কেওড়াতলা মহাশ্মশানের উদ্দেশ্যে। রাজ্য সরকারের তরফে দায়িত্ব নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে অরূপ বিশ্বাস ও ইন্দ্রনীল সেন সহ কয়েকজন মন্ত্রী নিজেদের হাতে বিষয়টি দেখাশোনা করেন। বিকেল ৩টের পরপর মহাশ্বেতা দেবীর শেষকৃত্য শ্মশানে সমাপ্ত হয়। ['অসম্ভব' শব্দটা তাঁর অভিধানেই ছিল না, তাই তো দুর্বল শরীরেও লড়াইটা চলছিল!]
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বহুদিন ধরেই ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল মহাশ্বেতাদেবীর। সিঙ্গুর আন্দোলনের সময়ে বাম সরকারের বিরোধিতা করে মমতার পাশে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। তাঁর লেখনীতে ঠিক যেভাবে বারবার সমাজের বঞ্চিত, পদদলিত শ্রেণির কথা উঠে এসেছে, সেভাবেই গরিব কৃষকদের কথা ভেবেই মমতার আন্দোলনকে স্বাগত জানিয়েছিলেন তিনি।
বৃহস্পতিবার দুপুর ৩টে ১৬ মিনিটে মহাশ্বেতাদেবীর প্রয়াণ ঘটে। দীর্ঘ রোগভোগের পরে গত হয়েছেন হাজার চুরাশির মা-র স্রষ্টা। এই খবর পাওয়ার পরই দিল্লি সফর মাঝপথেই বাতিল করে রাতের বিমানে কলকাতা ফিরে আসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।