পাহাড়ে নিষিদ্ধ ইন্টারনেট, নেপাল-ভূটান-এর লিঙ্কই হাতিয়ার মোর্চার
দার্জিলিং-এ ইন্টারনেট ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞার কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন। নেপাল ও ভূটান সীমান্ত খুব কাছে হওয়ায় সহজেই সাধারণ মানুষ থেকে মোর্চা সমর্থক পৌঁছে যাচ্ছেন সীমান্তে। অবাধে চলছে প্রতিবেশীর সিম
গোর্খাল্যান্ড আন্দোলনের মোকাবিলায় জুনের ১৯ তারিখ থেকে পাহাড়ে ইন্টারনেট ব্যবহারের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে রাজ্য় সরকার। এই নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে সরব ছাত্র, শিক্ষক, ব্যবসায়ী থেকে সব পেশার মানুষ। মত প্রকাশের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ বলে মনে করছেন তারা। সঙ্গে সঙ্গে দার্জিলিং-এর অবস্থানগত কারণে এই সিদ্ধান্ত কতটা কার্যকরী তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে সব মহলেই।[আরও পড়ুন:রেডিওর গোপন সংকেত ভেঙে গুরুংদের অভিসন্ধি জানার চেষ্টায় পুলিশ]
দার্জিলিং-এর তিন দিকে তিন প্রতিবেশী রাষ্ট্র, নেপাল, ভূটান এবং বাংলাদেশ। বিশেষ করে নেপাল এবং ভূটান থেকে আন্দোলনের সমর্থনে সাহায্য পাচ্ছে গোর্খাল্যান্ড সমর্থনকারীরা। বিশেষ করে ইন্টারনেট ব্যবহারের জন্য নেপাল কিংবা ভূটানের সিমেও ব্যবহার চলছে। কয়েক কিলোমিটারের মধ্যে সীমান্ত হওয়ায় স্থানীয় মানুষ প্রতিবেশী দেশের পরিষেবার ওপরই নির্ভরশীল হয়ে পড়েছেন। প্রত্যেক দিনই প্রায় সব পেশার মানুষ পায়ে হেঁটেই পৌঁছে যাচ্ছেন সীমান্তে।[আরও পড়ুন:সোশ্যাল মিডিয়ায় পাহাড় আন্দোলনের সমর্থনে জোর প্রচার, কী পদক্ষেপ নিচ্ছে রাজ্য]
অন্যদিকে, ভূটান যাওয়ার সহজ রাস্তা বিন্দু এবং কালিম্পং-এর টোডে সাংটা গ্রাম। স্থানীয় বাসিন্দারা সহজেই ভূটানের টেন্ডু, শিপসু এবং জেমপং-এ সহজেই যাতায়াত করেন।
মিরিকের এক বাসিন্দা বলছেন, প্রথমে মনে হয়েছিল ২ থেকে ৩ দিনের ইন্টারনেট ব্যবহারের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হচ্ছে। কিন্ত যখন তা আরও বাড়ানো হয় তখন মানুষ অধৈর্য্য হয়ে পড়েন। ইন্টারনেট ব্য়বহার করতে ৩ থেকে ৪ কিমি পথ হেঁটে নেপালের ইন্টারনেট পরিষেবা ব্যবহারের দিকেই ঝুঁকে পড়ছেন তারা।
অন্যদিকে, কালিম্পং-এর পারেনের বাসিন্দারা জলঢাকা নদীর ব্রিজ পেরিয়ে সহজেই ভূটানের ইন্টারনেট পরিষেবা ব্যবহার করতে পারছেন। সীমান্তের এসএসবি জওয়ানরা সব জানেন বলেই জানাচ্ছেন তারা।
ইন্টারনেট থেকে টেলিভিশন চ্যানেল, সবই নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকায় বিপাকে সাধারণ মানুষ। যারা এখনও আন্দোলনে অংশ নেননি তারাও আন্দোলনের আপডেট পেতে পৌঁছে যাচ্ছেন নেপাল কিংবা ভূটান সীমান্তে।