পার্থর নির্দেশেই নবান্ন অভিযানকারীদের উপর পুলিশি তাণ্ডব! অভিযোগ বাম ও কংগ্রেসের
বাম ও কংগ্রেসের অভিযোগ, সরকারপক্ষ যা করছে তা গণতন্ত্রের কন্ঠরোধ করা ছাড়া আর কিছু নয়। তাই এর সর্বাগ্রে প্রতিবাদ হওয়া উচিত বলেও দাবি করছেন তাঁরা।
রাজপথে বাম নেতা-কর্মী ও সংবাদকর্মীদের উপর নির্দয় লাঠিচার্জের প্রতিবাদে মঙ্গলবার উত্তপ্ত হয়ে উঠল বিধানসভা। বাম ও কংগ্রেস বিধায়করা যৌথভাবে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন ওয়েলে নেমে। বিধানসভার অধ্যক্ষের দিকে তাঁরা তেড়ে যান বলেও অভিযোগ। আর এই ঘটনার প্রতিবাদেই পাল্টা নিন্দা প্রস্তাব আনেন পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
তিনি বলেন, বিধানসভার অধ্যক্ষের দিকে বারবার তেড়ে যাওয়া মোটেও শোভনীয় নয়। এই ঘটনা অত্যন্ত নিন্দনীয়। তাই এই ঘটনার প্রতিবাদে তাঁরা বিধানসভা নিন্দা প্রস্তাব আনার পরিকল্পনা নেন। বামেদের নবান্ন অভিযানে পুলিশের নিন্দনীয় ভূমিকার প্রতিবাদে এদিন বিধানসভা বয়কট করেন বাম কংগ্রেসের বিধায়করা।
বিরোধী দলনেতা কংগ্রেসের আবদুল মান্নান ও বাম পরিষদীয় দলনেতা সিপিএমের সুজন চক্রবর্তী এদিন যৌথ সাংবাদিক সম্মেলন করেন। তাঁরা একযোগে সমালোচনা করেন রাজ্য সরকারের। অভিযোগের আঙুল তোলেন পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের দিকে। সুজন চক্রবর্তীর অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভয় পেয়ে পালিয়ে গিয়েছেন। আর পরিষদয়ী মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নির্দেশেই গণতন্ত্রের উপর আঘাত হানার ঘটনা ঘটেছে।
তাঁর অভিযোগ, পুলিশ বামকর্মীদের উপর পূর্ব পরিকল্পনামতোই লাঠিচার্জ করেছে। টিয়ার গ্যাস ছুড়েছে। এমনকী সাংবাদিক ও সংবাদকর্মীদের উপর বাধা দেওয়া হয়েছে নির্দয়ভাবে। তাঁদের উপরও আঘাত নেমে এসেছে। গণতন্ত্রের উপর হামলার এই ঘটনা আগে থেকে সাজানো ছিল। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নির্দেশেই পুলিশ এই কাজ করেছে বলেও অভিযোগ করেন সুজন চক্রবর্তী ও আব্দুল মান্নান।
বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান বলেন, 'বামকর্মী ও সংবাদকর্মীদের উপর নির্দয়ভাবে লাঠিচার্জ হয়েছে শুনেই গিয়েছিলাম দেখতে। তারপর আমাদের দিকেও পুলিশ লাঠি উঁচিয়ে উঠে আসে। বামকর্মীরা সম্মিলিতভাবে তা প্রতিহত করে আমাদের রক্ষা করেছেন।' সেইসঙ্গে মান্নান জানান, 'বিষয়টি নিয়েই বিধানসভায় আলোচনা চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু, এমন পরিস্থিতি তৈরি করা হল যে সরকারপক্ষ আলোচনাই করতে দিল না।'