শিল্পের জন্য জমি নিলে তা ফেরানো সম্ভব নয়, মত মমতার মন্ত্রীর
দুর্গাপুরে একটি অনুষ্ঠানে মলয়বাবু বলেছেন, "শিল্পের জন্য জমি নিতে হবে। কিন্তু একবার জমি অধিগ্রহণ করা হলে তা ফেরত দেওয়ার সংস্থান আইনে নেই। সিঙ্গুরে, অন্ডালে জমি নেওয়া হয়েছে। এখন যদি তা ফেরত দেওয়ার চেষ্টা হয়, তা হলে জটিলতা বাড়বে।"
আরও পড়ুন: টাকা না দিলে কাজ বন্ধ, দলে মাতব্বরি করছে ফড়িংরা, বিস্ফোরণ শিশিরের
প্রসঙ্গত, সিঙ্গুরে 'অনিচ্ছুক' কৃষকদের জমি বরাবরই ফেরত দেওয়ার পক্ষপাতী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০১১ সালে ক্ষমতায় এসে তিনি আইনে রদবদলও ঘটান। কিন্তু সেই সংশোধনীকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাই কোর্টে মামলা করে টাটা গোষ্ঠী। সেই মামলা এখন গড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। নভেম্বরে মামলার রায় ঘোষণা করবে শীর্ষ আদালত। আইনজীবীদের একাংশ বলছেন, রাজ্য সরকারের পরাজয়ের সম্ভাবনা প্রবল। তার আগে জমি অধিগ্রহণ নিয়ে মন্তব্য করে তৃণমূল কংগ্রেস তথা রাজ্য সরকারের অস্বস্তি বাড়িয়ে দিলেন মলয় ঘটক।
দু'দিন আগেই কাঁথির তৃণমূল সাংসদ শিশির অধিকারী দলের নেতা-কর্মীদের একাংশের দুর্নীতি নিয়ে সরব হয়েছিলেন। বলেছিলেন, সব কাজে তোলা দিতে হচ্ছে। নইলে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে উন্নয়নমূলক কাজ। কিছু লোক দলে ফড়িংয়ের মতো মাতব্বরি করছে। এর জেরে বিস্তর জলঘোলা হয়। দল তাঁকে সতর্ক করে। এ বার নতুন করে অস্বস্তি বাড়ালেন মলয় ঘটক।
আইনজীবী তথা সিপিএম নেতা বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেছেন, "এ কথা আমরা অনেক আগেই বলেছিলাম। সিঙ্গুরে শিল্প হলে রাজ্যের ছবিটাই পাল্টে যেত। এখন তৃণমূলের মন্ত্রী পরোক্ষভাবে সেটাই মেনে নিলেন।"