কেক, ওয়াইন, টার্কিতে আজ বড়দিনের দেদার মজা
আবহাওয়ায় তাপমাত্রার পারদ যত কমছে তত বাড়ছে উৎসবমুখর শহরের উষ্ণতা। মধ্যরাতের সেই চিরকালীন মাদকতা বজায় রেখেই পার্কস্ট্রিটের পথে উপচে পড়া উচ্ছাস জানিয়ে দিল আজ বড়দিন।
গীর্জায় প্রার্থনার সুরেলা আওয়াজ, কেক, ওয়াইনে একেবারে উৎসবের আমেজ। রাস্তায় তরুণ তরুণীদের ঝাঁক। লাল রঙা সান্তা টুপি, আলো জ্বলা হেয়ারব্যান্ড, অ্যাক্সেসরিজ যেন আজ আরও বেশি উজ্জ্বল। গীর্জায় মধ্যরাতের প্রার্থনায় হাজির খোদ মুখ্যন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। সেন্ট পল্স ক্যাথিড্রালের প্রার্থনায় মুখ্যমন্ত্রী সামিল হয়েছিলেন। পাশাপাশি সন্ধ্যেবেলায় সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজে আর্চবিশপ চমাস ডিসুজা ও কেলেজের অধ্যক্ষ ফেলিক্স রাজকে সানন্দে মুখে কেক তুলে দিলেন তিনি।
আল্যান পার্কের বড়দিন স্পেশ্যাল গান বাজনা, বো বারাকে এদিনের মেজাজই আলাদা। তাছাড়া ছোট বড় রেস্তোরাঁর বাইরে যেন থিকথিকে ভিড়। কখন ভিতরে ঢুকে খাওয়ার সুযোগ হবে জানা নেই, তবুও যেন অপেক্ষাতেই আনন্দ।
রাতের ভিড়টা পার্কস্ট্রিট, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট, লিন্ডসে তে আবদ্ধ থাকলেও বড়দিনের সকাল কিন্তু গড়ের মাঠ, নিক্কো পার্ক, চিড়িয়াখানা, জাদুঘরে ভাগ হয়ে গিয়েছে। উপছে পড়েছে ভিড়। সেন্ট পলস ক্যাথিড্রাল চার্চেও যেন পা রাখা যাচ্ছে না। কে খ্রীষ্ট ধর্মের আর কেই বা হিন্দু বোঝা দায়।
রাস্তার মোড়ে মোড়ে কোথায় ছোট কোথাও ইয়া বড় ক্রিস্টমাস ট্রি। আলো, তারা, চমকমে বলে সেজেগুজি পরিপাটি। নাইটক্লাব, পাবগুলিতে নজরদারি থাকলেও নিয়ন্ত্রণ নেই কোনও। কলকাতা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (সদর) রাজীব মিশ্র জানান, সন্ধে ছ'টা থেকে রাত ১০টা অবধি পার্ক স্ট্রিটে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে। উত্সবের আনন্দ নির্বিঘ্ন রাখতে শহর জুড়ে ১০ হাজারের বেশি পুলিশ নামছে।