স্মৃতির সরণি বেয়ে ফের ট্র্যাকে ফিরল খুলনা মেল
ফের ট্র্যাকে ফিরছে খুলনা মেল। স্মৃতির সরণি বেয়েই আবার পথ চলা শুরু কলকাতা-খালনা মৈত্রী এক্সপ্রেসের।
কলকাতা, ৮ এপ্রিল : ফের ট্র্যাকে ফিরছে খুলনা মেল। স্মৃতির সরণি বেয়েই আবার পথ চলা শুরু কলকাতা-খালনা মৈত্রী এক্সপ্রেসের। সেই পেট্রাপোল-বোনাপোল সীমান্ত রেলপথেই ওপার বাংলা থেকে এপার বাংলায় আজ এসে পৌঁছবে মৈত্রীর ট্রেন। অপেক্ষা শুধু আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের। দিল্লিতে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী ও বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্বোধন হবে দুই বাংলার মধ্যে বাস ও ট্রেন পরিষেবার। নবান্ন থেকে ছাড়বে বাস। একই সময়ে খুলনা থেকে ছাড়বে ট্রেন। উন্মাদনা দুই বাংলাতেই। এখন ট্রায়াল রান চলবে 'খুলনা মেলে'র। জুলাই মাস থেকে নিয়মিত চলবে এই মৈত্রীর ট্রেন। [মোদী-হাসিনার বৈঠক : প্রতিরক্ষা ও অসামরিক পরমাণু চুক্তি-সহ ভারত-বাংলাদেশের ২২টি মউ সাক্ষরিত ]
বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার আগেও কলকাতা-খুলনা ট্রেন চলত। শিয়ালদহ থেকে যাত্রীবাহী ট্রেন যেত খুলনা ও যশোরে। তখন অবিভক্ত বাংলা। ১৯৪৭ সালে পূর্ব পাকিস্তান গঠনের পর বন্ধ হয়ে যায় ট্রেন চলাচল। তারপর ১৯৭১-এ স্বাধীন হয় বাংলাদেশ। তারও ৩০ বছর পর পেট্রাপোল-বেনাপোল সীমান্ত ফের খুলে দেওয়া হয়। যাত্রীবাহী ট্রেন না চললেও পণবাহী ট্রেন যাত্রার সূচনা হয় দুই দেশের মধ্যে।
তারপর দুই বাংলার মৈত্রীর বন্ধন দৃঢ় করতে শুরু হয় 'মৈত্রী এক্সপ্রেসে'র যাত্রা। ২০০৮-এর এপ্রিলে ঢাকা ও কলকাতার মধ্যে মৈত্রী-যাত্রা শুরু হয়। ন'বছর পর সেই সম্পর্ককে আরও নিবিড় করতে শুরু হচ্ছে কলকাতা-খুলনা ট্রেনযাত্রার। একইসঙ্গে দুই দেশের মধ্যে বাস পরিষেবা চালু রয়েছে। কলকাতা-ঢাকা, কলকাতা-ঢাকা-আগরতলা বাস চলছে।
কলকাতা থেকে নয়া রুট নিয়ে এদিনই চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মধ্যে। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে সীমান্ত চুক্তি স্বাক্ষরিত হতে চলেছে। পেট্রাপোল-বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে ট্রেন পথে যাত্রী পরিবহণ ফের শুরু হচ্ছে। সেইসঙ্গে পণ্যবাহী ট্রেন চলবে বাংলাদেশ থেকে বিরোলি পর্যন্ত। সেই পথেরও সূচনা হবে এদিন। তিন নয়া পথে মৈত্রীর যোগসাধনে আরও মজবুত বন্ধনে আবদ্ধ হচ্ছে দুই বাংলা। আগামী দিনে বাংলাদেশ হয়ে দর্জিলিং ও আগরতলার মধ্যে নয়া রুট তৈরির ভাবনাও রয়েছে দুই দেশের।