জেএমবি জঙ্গিদের কৌশলে ক্লাবে বাঁধা হত বোমা, চাঞ্চল্যকর তথ্য সিআইডি-র হাতে
কাটোয়ার শ্রীবাটি গ্রামে বিস্ফোরণের তদন্তে নেমে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এল সিআইডি-র হাতে। ক্লাবের মধ্যে জেএমবি কৌশলে বোমা বাঁধা হত। বহিরাগতরা আসত এই বোমা তৈরির কাজে।
বর্ধমান, ৮ নভেম্বর : কাটোয়ার শ্রীবাটি গ্রামে বিস্ফোরণের তদন্তে নেমে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এল সিআইডি-র হাতে। ক্লাবের মধ্যে জেএমবি কৌশলে বোমা বাঁধা হত। বহিরাগতরা আসত এই বোমা তৈরির কাজে। এই তথ্য সামনে আসতেই নড়েচড়ে বসেছে এনআইএ-ও। এদিকে মঙ্গলবার সকালে বিস্ফোরণস্থল থেকে উদ্ধার হওয়া সকেট বোমা নিষ্ক্রিয় করা হল।
সিআইডির বম্ব ডিসপোজাল স্কোয়াড ৩২টি বোমাই নিষ্ক্রিয় করে। নিয়ন্ত্রিত বিস্ফোরণ পদ্ধতি মেনেই বোমাগুলি নিষ্ক্রিয় করা হয়। রাতেই গ্রাম থেকে বেশ কিছুটা দুরে ফাঁকা মাঠে বোমাগুলি রাখা হয়। মঙ্গলবার সকালে দমকল, পুলিশবাহিনীর উপস্থিতিতে বম্ব ডিসপোজাল স্কোয়াড বোমাগুলি নিষ্ক্রিয় করে।
এদিকে ক্লাবঘরের মধ্যে কেন এতগুলি শক্তিশালী বোমা মজুত করা হয়েছিল, তা নিয়ে উঠে পড়েছে প্রশ্ন। সিআইডি এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। এনআইএ বিস্ফোরণ সংক্রান্ত সমস্ত রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে। এই ঘটনার তদন্ত নেমেই চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছে সিআইডি। জেএমবি কৌশলে ওই বোমাগুলি তৈরি হয়েছে বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। এমনকী বোমা তৈরির জন্য বাইরে থেকে লোকজন আসত বলেও জানতে পেরেছেন তদন্তকারী অফিসাররা। কিন্তু কারা তারা?
কী প্রয়োজনেই বা বোমাগুলি বাঁধা হয়েছিল? নিছক রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেই কি বোমাগুলি তৈরি হয় বা মজুত রাখা হয়েছিল, নাকি অন্য কোনও উদ্দেশ্য ছিল বোমাগুলি মজুত রাখার পিছনে। তবে কি জঙ্গিগোষ্ঠীর পরোক্ষ মদতেই ওই বোমা তৈরির কাজ হত ক্লাবে? বহিরাগত কিছু মানুষের আনাগোনার খবর উঠে আসায়, এমন আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।