কন্যাশ্রীকে নিয়ে এবার দিকে দিকে প্রচারে যাত্রা, তৈরি হচ্ছে দেড়ঘণ্টার চিত্রনাট্য
এতদিন কেন্দ্রের বেটি বাঁচাও কর্মসূচি সেভাবে প্রচার পেয়েছে, তার সিকি শতাংশ প্রচারও পায়নি বাংলার কন্যাশ্রী। তবু বিশ্বের তাবড় তাবড় দেশের জনসেবামূলক প্রকল্পকে হারিয়ে বাংলার কন্যাশ্রী হয়ে উঠেছে সর্বোত্তম
বিশ্বসেরার স্বীকৃতি মেলার পর কন্যাশ্রীকে প্রচারের আলোয় তুলে আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে রাজ্যজুড়ে। স্কুল পাঠ্যক্রমে কন্যাশ্রীর অন্তর্ভূক্তি এখন স্রেফ সময়ের অপেক্ষা। এবার বাংলার যাত্রাপালাতেও জায়গা পেতে চলেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাধের কন্যাশ্রী। নাটকের মোড়কে এবার বাংলার কন্যাশ্রীকে প্রচারের আলোয় আনা হবে। সৌজন্যে পশ্চিমবঙ্গ যাত্রা অ্যাকাডেমি।
এতদিন কেন্দ্রের বেটি বাঁচাও কর্মসূচি সেভাবে প্রচার পেয়েছে, তার সিকি শতাংশ প্রচারও পায়নি বাংলার কন্যাশ্রী। তবু বিশ্বের তাবড় তাবড় দেশের জনসেবামূলক প্রকল্পকে হারিয়ে বাংলার কন্যাশ্রী হয়ে উঠেছে সর্বোত্তম। বিশ্বস্বীকৃতির সেই ফল হাতেনাতে পেতে চলেছে মমতার সরকার। বিশ্বজয়ের স্মারক নিয়ে বাংলায় ফেরার পর থেকেই মমতা বন্দোপাধ্যায়ের কন্যাশ্রী একের পর এক 'মাইল ফলক' ছুঁয়ে চলেছে।
একটা সময় কন্যাশ্রীর ট্যাবলো স্বাধীনতা দিবসের কুচকাওয়াজ থেকে বাতিল করে দেওয়া হয়েছিল। সেই কন্যাশ্রীই বিশ্বের দরবার থেকে সেরার শিরোপা অর্জন করে নিয়ে এসেছে। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই সুযোগ কিছুতেই হাতছাড়া করতে চাইছেন না। তিনি কন্যাশ্রীকে ঘিরেই বড়সড় প্রচারে নামার পরিকল্পনা কষে ফেলেছেন।
আর এই কাজে শিক্ষা দফতরের উদ্যোগের পাশাপাশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পেয়ে গিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গ্ যাত্রা অ্যাকাডেমিকেও। যাত্রা অ্যাকাডেমি পরিকল্পনা করেছে কন্যাশ্রীকে নিয়ে দেড় ঘণ্টার একটি যাত্রাপালা বানানোর। বাংলার মেয়েদের স্বনির্ভর করে তোলার কথা থাকবে তাতে। কন্যাশ্রী প্রকল্পে ভর করে নারীশিক্ষার উন্নতির কথাও বলা হবে সেই যাত্রাপালায়। থাকবে কন্যাশ্রীর সাফল্যের কথাও।
জানা গিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ যাত্রা অ্যাকাডেমির অধীনে মোট ৭০টি যাত্রাদল রয়েছে। সেই ৭০টি যাত্রাদলও ছোট ছোট নাটিকার মাধ্যমে কন্যাশ্রীর প্রচার করবে। যাত্রাপালা শুরুর আগে এই প্রচার চালাবে অপেরাগুলি। এছাড়া যাত্রা অ্যাকাডেমির পক্ষ থেকে দেড়ঘণ্টার একটি যাত্রাপালাও সাজানোর পরিকল্পনা চলছে।