খাগড়াগড় বিস্ফোরণ নিয়ে চার্জশিটে চাঞ্চল্যকর তথ্য পেশ এনআইএ-র
নয়াদিল্লি, ২৩ মে : খাগড়াগড় বিস্ফোরণ নিয়ে পেশ করা চার্জশিটে চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আনল জাতীয় তদন্তকারী দল এনআইএ। জানা গিয়েছে, এই বিস্ফোরণের আগে জামাত-উল-মুজাহিদিন বাংলাদেশের অন্যতম কর্মী তথা অন্যতম অভিযুক্ত এনামুল মোল্লা (২৫) বর্ধমানে বেশ কয়েকটি কট্টরপন্থী অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল। [ভারতে আইএস জঙ্গিদের মূল উৎস পশ্চিমবঙ্গ, দাবি গোয়েন্দাদের]
খাগড়াগড় বিস্ফোরণের পরপরই তদন্তে উঠে এসেছিল, কীভাবে খাগড়াগড়ে কট্টরপন্থী নেতারা বাংলাদেশ থেকে এসে কট্টরপন্থার পাঠ পড়িয়ে গিয়েছে। এরপর তদন্ত চালিয়ে মোট ৩০ জন কট্টরপন্থীর নাম চার্জশিটে আনা হয়েছে। এর মধ্যে মোট ৬জন বাংলাদেশি রয়েছে। [কীভাবে পাকিস্তানে তৈরি জাল ভারতীয় নোট বাংলাদেশ হয়ে ঢুকছে এদেশে]
এনামুল মোল্লা সম্পর্কে চার্জশিটে বলা হয়েছে, মাত্র ২৫ বছর বয়সেই কট্টরপন্থায় শিক্ষিত হয়ে পশ্চিমবঙ্গে জামাত-উল-মুজাহিদিন বাংলাদেশের (জেএমবি) আদর্শকে ছড়িয়ে দিতে বিশেষ কাজ শুরু করেছিল দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসিন্দা এনামুল। পলাতক অভিযুক্ত মৌলানা ইউসুফ ও আবুল কালামকে বিস্ফোরণের পর গা ঢাকা দিতেও সে সাহায্য করে। [ভারতে আইএস জঙ্গিদের মূল উৎস পশ্চিমবঙ্গ, দাবি গোয়েন্দাদের]
আরও জানা গিয়েছে, জেএমবি-র মতো কট্টরপন্থী সংগঠনে ভারত থেকে কর্মী নিয়োগ, জেহাদি ভাবনা ছড়িয়ে দেওয়া, নানা অনুষ্ঠান পরিকল্পনা করা, এবং কট্টরপন্থীদের ট্রেনিং দেওয়া সহ একাধিক কাজ করত এই এনামুল। [ চাকরির সাইট দেখে কর্পোরেট কায়দায় ভারতে জঙ্গি নিয়োগ আইএসআইএস-এর]
আপাতত মোট ৩০ জনের নামে চার্জশিট দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ২০ জনকে গ্রেফতার করা গিয়েছে, ১০ জন এখনও পলাতক।
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের অক্টোবরে দুর্গাপুজোর মাঝেই একটি বাড়িতে দুর্ঘটনাবশত বিস্ফোরণ ঘটলে গোটা বিষয়টি সামনে আসে। তারপরে তদন্তে গোয়েন্দারা জানতে পারেন, ওই বাড়িটিকে কার্যত বোমা বানানোর কারখানাতে পরিণত করেছিল এই দুষ্কৃতীরা। এরপরে পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের নানা জায়গায় হামলা চালানোর পরিকল্পনা ছিল।