‘জতুগৃহ’ রাজ্যের হাসপাতালগুলি! সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে আসতেও ভয় পাবেন রোগীরা!
এই আগুন কি অন্তর্ঘাতের আগুন নাকি চূড়ান্ত অসতর্কতার? বারবার অগ্নিকাণ্ডের শিকার রাজ্যের সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল থেকে শুরু করে গ্রামীণ স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলি। কেন জতুগৃহ হয়ে উঠছে হাসপাতালগুলি।
কলকাতা, ২১ নভেম্বর : ফের রাজ্যে ফিরে এল আমরি আতঙ্ক। সোমবার সকালে রাজ্যের এক নম্বর হাসপাতালে লাগল বিধ্বংসী আগুন। জেলা হাসপাতাল থেকে শুরু করে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল, সর্বত্রই লঙ্কাকাণ্ড ঘটছে বারবার। কেন বারবার হাসপাতালগুলিতেই আগুন লাগছে? এই আগুন কি অন্তর্ঘাতের আগুন নাকি চূড়ান্ত অসতর্কতার? বারবার অগ্নিকাণ্ডের শিকার রাজ্যের সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল থেকে শুরু করে গ্রামীণ স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলি। খতিয়ে দেখতে হবে, কেন জতুগৃহ হয়ে উঠছে হাসপাতালগুলি।
এদিন এসএসকেএম হাসপাতালের রোনাল্ড রস বিল্ডিংয়ের ছ'তলায় বিধ্বংসী আগুন লাগে। মুহূর্তেই সেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে। কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় গোটা হাসপাতাল চত্বর। আতঙ্কে দৌড়াদৌড়ি শুরু করে দেন রোগীর আত্মীয়-পরিজনেরা। ফিরে আসে আমরির আতঙ্ক। ঘটনাস্থলে দমকলের ১৯টি ইঞ্জিন পৌঁছে দু'ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এ যাত্রায় বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পায় রাজ্যের সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল।
কিন্তু কেন এই অগ্নিকাণ্ড? মুখ্যমন্ত্রী নিজেই অন্তর্ঘাতের আশঙ্কা করেছেন। তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন স্বাস্থ্য দফতরকে। তদন্ত করতে বলেছেন দমকল, পুলিশ-প্রশাসনকেও। তিনি জানতে চান, কী থেকে এই দুর্ঘটনা? অন্তর্ঘাত নাকি অসতর্কতা? তিনি চান তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে।
শর্টসার্কিট থেকে যেমন এই আগুন লাগতে পারে, লাগতে পারে সামান্য বিড়ি বা সিগারেটের আগুন থেকে? যা থেকে প্রাণঘাতি হতে পারত এই অগ্নিকাণ্ড। কিছুদিন আগেই একবার আগুন লেগেছিল এসএসকেএমে। সেক্ষেত্রে বহির্বিভাগে আগুন দ্রুত নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়। শর্টসার্কিট থেকে আগুন লাগে। সেবার বড় আকার ধারণ না করলেও, এসএসকেএমকে সাবধান করে দিয়েছিল সেই আগুন। তবু তা থেকে শিক্ষা নিতে পারেনি এসএসকেএম। এবার কিন্তু সাঙ্ঘাতিক ক্ষতি হতে পারত। সুস্থ হতে এসে স্বাস্থ্য কেন্দ্রেই আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি হওয়া রোগীদের মধ্যেও আতঙ্কের সৃষ্টি করেছে।
আমরির
ঘটনার
পর
থেকে
বারেবারে
ঘটছে
হাসপাতালে
আগুন
লাগার
ঘটনা।
বহরমপুর
মেডিকেল
কলেজ
হাসপাতালে
আগুন
লাগার
পর
তাড়াহুড়ো
করে
নামতে
গিয়ে
প্রাণ
দিতে
হয়েছে
অনেক
রোগী
ও
রোগীর
পরিবারের
লোকজনকে।
তারপর
মালদহ,
পূর্ব
মেদিনীপুরের
এগরা
হাসপাতালেও
মাস
তিনেকের
মধ্যেই
ঘটেছে
অগ্নিকাণ্ডের
ঘটনা।
তবে
কি
প্রতিটি
হাসপাতালই
জতুগৃহ
হয়ে
রয়েছে।
হাসপাতালে
সুস্থ
হওয়ার
জন্য
এসে
আরও
অসুস্থ
হয়ে
পড়ছেন
রোগীরা।
স্রেফ
পরিকাঠামো
অভাবে
জীবন
সংশয়
দেখা
দিচ্ছে