চন্দননগরের মণ্ডপে মণ্ডপে আগমন জগদ্ধাত্রীর, ‘নাদা’র ঝক্কি সামলে জনজোয়ার
মণ্ডপে মণ্ডপে দেবী জগদ্ধাত্রীর আগমনের সঙ্গে সঙ্গেই উধাও বর্ষাসুরের দাপট। সোমবার সকাল থেকেই মেঘের ফাঁক দিয়ে উঁকি দিয়েছে এক চিলতে রোদ। রোদ ঝলমল পরিবেশে এক নিমেষে উধাও মন খারাপও।
হুগলি, ৭ নভেম্বর : মণ্ডপে মণ্ডপে দেবী জগদ্ধাত্রীর আগমনের সঙ্গে সঙ্গেই উধাও বর্ষাসুরের দাপট। সোমবার সকাল থেকেই মেঘের ফাঁক দিয়ে উঁকি দিয়েছে এক চিলতে রোদ। রোদ ঝলমল পরিবেশে এক নিমেষে উধাও মন খারাপও। নাদার ক্ষত সরিয়ে চন্দননগরের মণ্ডপগুলিতে আগমন ঘটেছে মা জগদ্ধাত্রীর। শুরু জগদ্ধাত্রী আরাধনা। শুরু উৎসব। সকাল থেকেই জনজোয়ারে ভাসতে শুরু করেছে চন্দননগর।
চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজোর পরিচিত সারা দেশজুড়ে। মূর্তি, মণ্ডপ, আলোকসজ্জা সবেতেই অনন্য চন্দননগরের পুজো। এবার চন্দননগরে জগদ্ধাত্রী পুজো হচ্ছে ১১৭টি, ভদ্রেশ্বরে ৩৯টি। বাংলার আকাশে 'নাদা'-আশঙ্কার মাঝেই পঞ্চমীর রাতেই চন্দননগরের লক্ষ্মীগঞ্জে ঢাকির হাট হয়েছে। ঐতিহ্যের ওই হাট থেকে ঢাকিরা পৌঁছে গিয়েছেন মণ্ডপে মণ্ডপে।
এবার সব আশা-আশঙ্কার অবসান। আগামী চারটি দিন লক্ষাধিক মানুষের ভিড় হয় চন্দননগর। গোটা এলাকায় থাকে নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তা। এবার আকাশে উড়ছে ড্রোন। শতাধিক সিসিটিভির নজরদারিও থাকছে। থাকছে নদীপথে কড়া নজরদারিও। হুগলির ঐতিহ্যশালী জগদ্ধাত্রীকে রূপ দেন চন্দননগরের কুমোরপাড়ার শিল্পীরাই। প্রতিটি পুজো মণ্ডপেই কম করে ২৫-৩০ ফুট উচ্চতার প্রতিমা।
সেইমতো সামঞ্জস্য করেই ছিম বা বিষয়ভাবনায় সেজে ওঠেচন্দননগর ও ভদ্রেশ্বর। তবে সব কিছুকে ছাপিয়ে এখানে বড় হয়ে ওঠে সাবেকিয়ানাই। সব মণ্ডপেই বড় বড় ঠাকুর, সবই সাবেকি ঢঙের প্রতিমা। যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে শুধু বদলায় সাজ। কোথাও সোলার, কোথাও জরি, আবার কোথাও সোনালি সাজ৷
আর এখানকার আলোকশিল্পী তো জগদ্বিখ্যাত। ষষ্ঠী থেকেই ঘূর্ণিঝড় 'নাদা'র শঙ্কা দূর করে আলোর উৎসবে ভাসছে এই 'ফরাসি উপনিবেশ'৷ চন্দননগরের উচ্চতায় বড় প্রতিমার মধ্যে বাগবাজার সর্বজনীন অন্যতম। ৩৬ ফুটের প্রতিমা এখানে৷ মধ্যাঞ্চলের পুজোয় প্রতিমাসজ্জায় মাতেন চন্দননগরের কুমোরপাড়ার শিল্পীরাই। উত্তরাঞ্চলের পুজোর মণ্ডপ তৈরি হয়েছে প্যারিস অপেরা হাউসের আদলে। এছাড়াও মানকুণ্ডু, জ্যোতি, নতুনপাড়া, নিয়োগীবাগানের পুজোও বিশেষ উল্লেখযোগ্য।