ভারতে জালনোট ছড়াতে মালদহকেই করিডোর করেছে আইএসআই, সতর্ক গোয়েন্দারা
ভারতে জাল নোট কারবারিদের করিডোর হয়ে উঠেছে এপার বাংলার মালদহ। বাংলাদেশ থেকে চোরাপথে মালদহের মধ্যমেই সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ছে জালনোট।
মালদহ, ২৪ ফেব্রুয়ারি : ভারতে জাল নোট কারবারিদের করিডোর হয়ে উঠেছে এপার বাংলার মালদহ। বাংলাদেশ থেকে চোরাপথে মালদহের মাধ্যমেই সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ছে জালনোট। এমনকী নতুন ২০০০ টাকার জালনোটও ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে এপার বাংলা তথা ভারতে। ক্রমেই আতঙ্কের অপর নাম হয়ে উঠেছে মালদহ।[বাংলাদেশেই ছাপানো হচ্ছে ভারতীয় নতুন ২০০০ টাকার জালনোট! জেরায় চাঞ্চল্যকর তথ্য]
গোয়েন্দা সংস্থার দাবি, মালদহের দুর্বল নিরাপত্তা ব্যবস্থার কারণেই এই আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। জালনোট কারবারিরা তাদের কাজের জন্য বেছে নিয়েছে এই জেলাকে। বিগত তিন বছরে এ রাজ্যের ৯৯ শতাংশ জাল নোট পাচারের ঘটনা ঘটেছে এই জেলা থেকে।[জাল নোট চক্রে মালদহ থেকে গ্রেফতার দুই বাংলাদেশি!]
অভিযোগ, মালদহ প্রশাসনকে বারবার সতর্ক করেও কোনও কাজের কাজ হয়নি। যে সাফল্যটুকু মিলেছে, তার বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা অভিযান চালিয়ে জালনোট পাচার চক্রের জাল কেটেছে। মালদহের নিরাপত্তা নিয়েও উদ্বিগ্ন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা।[২০০০ টাকার জাল নোট কীভাবে বানাতে হয় জানেন? প্রয়োজন মাত্র ২ টি জিনিস]
উল্লেখ্য গত ৮ নভেম্বর দেশে বাতিল করা হয়েছে ৫০০ ও হাজার টাকার নোট। চালু হয়েছে নতুন ৫০০ টাকা ও ২০০০ টাকার নোট। কিন্তু মাত্র তিনমাসের মধ্যেই নতুন ২০০০ টাকার জাল নোট ছড়িয়েছে ভারেতর বাজারে। আর ভারতের বুকে এই জালনোট ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য মাধ্যম করা হয়েছে মালদহ জেলাকে।[ভাগ্নের বোর্ড গেমের খেলনা টাকা এসবিআই এটিএম-এ ঢুকিয়েছিলাম, স্বীকারোক্তি অভিযুক্তর!]
কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা রিপোর্ট, পাকিস্তানে জালনোট ছাপানোর কাজ হচ্ছে। তা আইএসআই চরের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ছে বাংলাদেশ, সৌদি আরবে। ছাকা আর দুবাইয়ের পথ ধরেই এ দেশে আসছে জালনোট। সবথেকে বেশি জালনোট আসছে বাংলাদেশ দিয়ে। বাংলাদেশ থেকে সীমান্ত দিয়ে সহজেই মালদহে প্রবেশ করছে জালনোট পাচারকারীরা।
সম্প্রতি কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা জানতে পেরেছে বাংলাদেশেও ছাপানো হচ্ছে নতুন ২০০০ টাকার জালনোট। সেই টাকাই ছড়িয়ে পড়ছে এপার বাংলায় এবং ভারতের বিভিন্ন স্থানে। বিগত ১৫ দিনের মধ্যে বিএসএফ ও কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিকদের হাতে ধরা পড়েছে জালনোট পাচারকারীরা। উদ্ধার হয়েছে লক্ষাধিক টাকার জাল নোট।
ভারতেও এই জাল নোট ছাপানোর কারবার শুরু করতে চায় আইএসআই। তবে এখনই তারা এই কাজে বিরত থাকছে। গত বছরই বহু মেশিনারি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ফলে এ ব্যাপাকে সতর্ক আইএসআই। আর এ ব্যাপারে যে তারা সফট টার্গেট করছে মালদহকেই, তা একপ্রকার নিশ্চিত গোয়েন্দারা। এই কারবার যে কোনওভাবে রুখতে তৎপর কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।
গোয়েন্দারা এমনও জানতে পেরেছেন যে, প্রথমে কম মূল্যের জালনোট ছাপাতে চাইছে আইএসআই। মূলত ১০০ ও ৫০ টাকার জালনোটও তারা বাজারে ছড়িয়ে দিতে চায়। এই কম মূল্যের জালনোটেরও ভালো চাহিদা রয়েছে বলে তারা মনে করছে। তার কারণ নোট বাতিলের পরে খুচরো সমস্যা প্রবল ভারতের অর্থনৈতিক বাজারে।