রাজনীতির মূলস্রোতে ফিরেই হুঙ্কার ছেড়ে বিপদ বাড়াচ্ছেন না তো মদন?
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকে কোর কমিটির বৈঠকে ফেরার পরই স্বমহিমায় অবতীর্ণ হচ্ছেন মদন মিত্র! তাঁর গলায় ফিরে আসছে পুরনো ঝাঁঝ। কিন্তু ঝাঁঝ ফিরে পেয়ে তিনি ফের নিজের বিপদ ডাকছেন না তো?
কলকাতা, ৮ এপ্রিল : মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকে কোর কমিটির বৈঠকে ফেরার পরই স্বমহিমায় অবতীর্ণ হচ্ছেন মদন মিত্র! তাঁর গলায় ফিরে আসছে পুরনো ঝাঁঝ। কিন্তু ঝাঁঝ ফিরে পেয়ে তিনি ফের নিজের বিপদ ডাকছেন না তো? রাজনৈতিক মহল দু'ভাগ মদন মিত্রের নতুন ভূমিকায়। ইতিমধ্যেই তাঁর বিরুদ্ধে নালিশও হয়ে গিয়েছে। কামারহাটির সিপিএম বিধায়ক মানস মুখোপাধ্যায় মদন মিত্রের বিরুদ্ধে শুধু পুলিশেই অভিযোগ করেননি, রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব ও বিধানসভার অধ্যক্ষকেও চিঠি দিয়েছেন।
মানসবাবু অভিযোগ, মদনবাবু কামারহাটি ঢোকার অনুমতি পাওয়ার পর থেকেই তাঁকে ও অন্যান্য সিপিএম নেতাকে হুমকি দিচ্ছেন। এই হুমকির ফলে তাঁরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলেও অভিযোগ তাঁর। মদন মিত্র মানসবাবুর অভিযোগ সমূলে উপড়ে দিয়ে বলেন, তিনি কোনও হুমকি দেননি। তিনি হুমকি দিয়েছেন প্রমাণ করতে পারলে রাজনীতিই ছেড়ে দেব। তিনি বলেন, আমি কামারহাটিতে ঢোকার পর সিপিএমের পায়ের তলার মাটি সরে যাচ্ছে বুঝেই এই সব রটনা করছেন মানসবাবু।
সম্প্রতি বেলঘরিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন মানস মুখোপাধ্যায়। তিনি লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেছেন, ''মদনবাবু এক পথসভায় বলেছেন, মানস মুখোপাধ্যায় আমার বিরুদ্ধে কুৎসা করছেন। এরপর কোনও সভায় যদি কুৎসা করেন, তবে তার পরিণতি হবে ভয়ঙ্কর। ওঁর এবং সিপিএমনেতাদের হাড় হিম হয়ে যাবে।''
মাদনবাবু লোক খ্যাপাচ্ছেন বলেও অভিযোগ তুলেছেন মানসবাবু। মদনবাবু নাকি সম্প্রতি বলেছেন, ''মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছোবল মারতে বারণ করছেন, তা বলে তো ফোঁস করতে বারণ করেননি। তাই তৃণমূল কর্মীদের বলছি, আপনারা স করুন যাতে সিপিএম কর্মীদের রক্ত হিম হয়ে যায়, অফিসে ঢুকতে ভয় পায়।
তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ হয়েছে শুনে মদনবাবু বলেন, '২০১১ সালে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর কামারহাটিতে ক'টা সিপিএম পার্টি অফিসে ভাঙচুর হয়েছে? বা ক'জন সিপিএম কর্মীকে মারধর করা হয়েছে? আমি ফিরে আসায় মদনবাবুরা ভয় পেয়েছেন জমি হারানোর। সেই কারণেই এসব অভিযোগ।'