আত্মঘাতী সাব ইন্সপেক্টর সৌভাগ্য দাস, নাম জড়ালো আইপিএস অফিসার মির্জার
সাব ইন্সপেক্টর সৌভাগ্য দাসের অস্বাভাবিক মৃত্যুতে নাম জড়ালো আইপিএস অফিসার এমএইচ মির্জার। মির্জার পাশাপাশি মেকানিক্যাল ট্রেড অফিসার শঙ্কর পালের বিরুদ্ধেও বারাকপুর থানায় অভিযোগ।
উত্তর ২৪ পরগনা, ১৩ মার্চ : সাব ইন্সপেক্টর সৌভাগ্য দাসের অস্বাভাবিক মৃত্যুতে নাম জড়ালো আইপিএস অফিসার এমএইচ মির্জার। মির্জার পাশাপাশি মেকানিক্যাল ট্রেড অফিসার শঙ্কর পালের বিরুদ্ধেও বারাকপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করলেন মৃত সৌভাগ্য দাসের স্ত্রী সুচিত্রিতা দাস। রবিবার রাতে বারাকপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। প্রথমে অভিযোগ নিতে না চাইলেও, পরে অভিযোগ নেয় থানা। শুরু করা হয়েছে থানায়।
সুচিত্রিতা দেবীর অভিযোগ, তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার মিথ্যা অভিযাগ আনা হয়েছিল। তাঁকে মিথ্যা অভিযোগে তিন মাস সাসপেন্ট করা হয়েছিল। তারই জেরে প্রবল মানসিক চাপে তাঁর স্বামীকে আত্মঘাতী হয়ে হয় বলে তাঁর অভিযোগ। সাসপেন্ড হওয়ার পর অনুনয়-বিনয় করে কাজে যোগ দিলেও, তাঁর উপর মানসিক নির্যাতন চলছিলই। অফিসে যেতে লজ্জা পাচ্ছিলেন। বাড়িতে ফোন করে হতাশার কথা ব্যক্তও করেছিলেন সৌভাগ্য।
শেষপর্যন্ত মৃত্যুকেই বেছে নেন তিনি। স্ত্রীর অভিযোগ, তাঁকে ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া হয়। একই অভিযোগ সৌভাগ্যের বাবা পরম দাসের মুখেও। রবিবার সকালে লাটবাগান পুলিশ ট্রেনিং কলেজের ভিতর থেকে সৌভাগ্য দাসের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। কেন তিনি আত্মহত্যার পথ বেছে নিলেন? তা নিয়ে অভিযোগের তিন কর্তৃপক্ষের দিকেই। এই কলেজের সি ও হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন আইপিএস এমএইচ মির্জা।