২০১০ সালে বাবা-মাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছিল উদয়ন, খুনের মোটিভ চমকে দেওয়ার মতো
উদয়ন পুলিশকে জানিয়েছে, ২০১০ সালে সে বাবা মাকে খুন করে। দুজনকেই শ্বাসরোধ করে খুন করে সে। মা তার জীবনযাত্রায় বাধা দিত তাই তাঁকে খুন, ধরা পড়ে যাওয়ার ভয়ে বাবাকে খুন।
রায়পুর, ৫ ফেব্রুয়ারি : আকাঙ্খা শর্মা খুনের অপরাধী উদয়ন দাস আগে নিজের বাবা-মাকেও যে খুন করেছিল, সেকথা পুলিশি জেরায় নিজের মুখেই স্বীকার করেছিল সে। উদয়নের দেখিয়ে দেওয়া যায়গা থেকে উদ্ধার হয়েছে একাধিক হাড়গোড় এবং খুলির অংশ। কিন্তু এতক্ষণ পুলিশের কাছে বড় প্রশ্ন ছিল নিজের বাবা-মাকে কেন এবং কবে খুন করে উদয়ন। সেই প্রশ্নেরও জবাব দিয়েছে সে। [ আকাঙ্খা হত্যাকাণ্ড : রায়পুরে উদয়নের বাড়ির বাগান থেকে মিলল খুলি, হাড়গোড়!]
উদয়ন পুলিশকে জানিয়েছে, ২০১০ সালে সে বাবা মাকে খুন করে। মা অনবরত তাঁর উচ্ছৃঙ্খল জীবনযাত্রা নিয়ে তাকে বাধা দিতেন। একদি মা যখন বাড়িতে একা ছিলেন তখন টাকাপয়সা সংক্রান্ত বিষয়ে মায়ের সঙ্গে বচসা হয় উদয়নের। তখনই গলা টিপে শ্বাসরোধ করে মাকে খুন করে সে। বাবা তখন বাড়িতে ছিলেন না। [শহরের আতঙ্ক এবার 'ফেসবুর কিলার'!]
খুনের তথ্যপ্রমাণ লোপাট করতে বাড়ির বাগানের মধ্যে মায়ের দেহ পুঁতে দেয় উদয়ন। তারপর স্বাভাবিক হয়ে যান। কিছুক্ষণ পরে বাবা এলে ধরা পড়ে যাওয়ার ভয়ে নিজেকে বাঁচানোর জন্য বাবার চায়ে ঘুমের ওষুধ মিলিয়ে দেয় সে। ঘুমের ওষুধের প্রভাবে বাবা নিস্তেজ হয়ে গেলে তখন মায়ের মতো করে একইভাবে গলা টিপে শ্বাসরোধ করে বাবাকেও খুন করে উদয়ন। এরপর বাবার দেহও ওই বাগানেই সে পুঁতে দেয়। [আকাঙ্খাকে পরিকল্পনা করে খুন নাকি উদয়নের মানসিক বিকার, মনোবিদের সাহায্যে উত্তর খোঁজার চেষ্টা পুলিশের]
এই ঘটনার পরেই বাড়িটি এক আত্মীয়কে পাওয়ার অফ অ্যাটর্নি দিয়ে বাড়ি ছেড়ে চলে যায় উদয়ন। পুলিশের দাবি, উদয়ন এই সব কথাই জেরায় স্বীকার করেছেন। যেই আত্মীয়র কাছে বাড়ির পাওয়ার অফ অ্যাটর্নি দিয়েছিল উদয়ন সেই আত্মীয়কেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে। ['সব ভুলে যাও, নতুন করে জীবন শুরু কর', রবিনসন স্ট্রিট কাণ্ডে মিলল রহস্যে মোড়া চিরকুট!]
উদয়ন বাবা-মার দেহ যেখানে পুঁতে রেখেছিল বলে দেখিয়েছিল সেখান থেকেই হাড়গোড় মানুষের খুলির অংশ উদ্ধার হয়েছে। এই উদ্ধার হওয়া হাড়গোড় এবং খুলির ডিএনএ পরীক্ষা করানো হবে। উদয়নের মুখ থেকে আর কোনও তথ্য উদ্ধার করা যায় কিনা তারই চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।