পরিচালন সমিতিতে স্নাতক ছাড়া নো-এন্ট্রি, প্রস্তাব শিক্ষামন্ত্রীর
কলকাতা, ২০ সেপ্টেম্বর : স্নাতক ছাড়া নো-এন্ট্রি স্কুল-কলেজ পরিচালন সমিতিতে। দলীয় বিধায়কদের বৈঠকে প্রস্তাব দিলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। শিক্ষামন্ত্রীর এই বার্তার পর রাজ্যের স্কুল-কলেজ পরিচালন সমিতিতে এখন থেকে ন্যূনতম স্নাতক হওয়া বাধ্যতামূলক হতে চলেছে।
এখনও স্কুলের গণ্ডি না পেরনো রাজনৈতিক কর্তাব্যক্তিরাও রয়ে গিয়েছেন রাজ্যের বহু স্কুল-কলেজে। তাঁরাই ছড়ি ঘোরাচ্ছেন পরিচালন সমিতিতে। পার্থবাবুর এই প্রস্তাব আরাবুল ইসলামদের মতো মানুষদের কাছে চরম বার্তা। শিক্ষামন্ত্রীর এই প্রস্তাবে অবশ্য রাজনৈতিক মহল ও শিক্ষামহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া পড়েছে।
শিক্ষামহলের একাংশ মনে করছেন, এই সিদ্ধান্ত শিক্ষামন্ত্রীর একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ। এই সদর্থক পদক্ষেপ অবশ্যই অভিনন্দনযোগ্য বলে বর্ণনা করেছেন শিক্ষাবিদ অমল মুখোপাধ্যায়। তবে এর পাশাপাশি তিনি বলেন, স্কুল-কলেজ পরিচালন সমিতি থেকে যদি রাজনৈতিক ব্যক্তিদের নো-এন্ট্রি ঘটানো যেত, তাহলে আরও ভালো হত। তাঁর ব্যাখ্যা , মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় এসেই ঘোষণা করেছিলেন, তিনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে রাজনীতিমুক্ত করবেন। কিন্তু দুঃখের বিষয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাঁচ বছরের সময়কালে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি রাজনীতিমুক্ত হয়নি। সেদিক বিচার করে পার্থবাবু রাজনৈতিক ব্যক্তিদের প্রবেশ বন্ধ করতে পারতেন, তাহলে এই সিদ্ধান্ত যুগান্তকারী হত।
শ্রুতিনাথ প্রহরাজের মতো অনেক শিক্ষাবিদের মতে, স্কুল-কলেজে এন্ট্রিতে স্নাতক বাধ্যতামূলক করলেই এমন কিছু ফারাক এসে যাবে না। কারণ স্নাতক কোনও যোগ্যতাই নয়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিচালনার ক্ষেত্রে যোগ্য হবেন শিক্ষক, অধ্যাপক, শিক্ষাবিদরাই। সেই কারণে রাজনীতি থেকে দূরে থাকা অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক-অধ্যাপকদেরই আনা উচিত পরিচালন সমিতিতে।
আবার রাজনৈতিক মহলের মতে, পরিচালন সমিতিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে স্নাতক করলেই যে সব সমস্যার সমাধান হবে তা নয়। গ্র্যাজুয়েটরা এলেই যে পরিচালন সমিতি নির্বিঘ্নে চলবে এমন কোনও গ্যারান্টি নেই। তবে স্কুলের গণ্ডি না পেরনো লোকজনের থেকে ন্যূনতম স্নাতকদের পরিচালন সমিতিতে থাকা অনেক ভালো হবে।